রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সুশান্তের সঙ্গে ব্যাংককে ছিলেন সারা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০
news-image

সুশান্ত সিং রাজপুতের চলে যাওয়ায় বলিউডের অনেক হিসাব–নিকাশও বদলে গেছে। সামনে এসেছে অনেক আলোচনা, সমালোচনা। সুশান্তের ফেলে যাওয়া জীবনের নানা ঘটনা সামনে আসছে নানাভাবে। কখনো সামনে এসেছে ব্যক্তিগত যাপিত জীবনের গল্প, কখনো এসেছে চলচ্চিত্র জগতের নানা ঘটনা। রিয়ার কথা ছড়িয়েছে সবার আগে। শক্তপোক্তভাবে এসেছে নবাব পরিবারের সাইফ আলী খানের কন্যা সারা আলী খানের নাম। দিন যত গড়াচ্ছে, ততোই এই নাম গভীরভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে সুশান্তের সঙ্গে। উঠে আসছে সুশান্তের সঙ্গে তাঁর জীবনের হরেক বিষয়। ভারতের গোয়েন্দা ও

সম্প্রতি সারা ও সুশান্তের প্রেমের বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেতার সাবেক ব্যবস্থাপক সাবির আহমেদ। সাবির বলছেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সুশান্তের সঙ্গে ব্যাংককে ছিলেন সারা। টানা তিন দিন হোটেলের ঘর থেকে বের হননি দুজনের কেউ।
অবশ্য সারা আর সুশান্তের ব্যাংককে ভ্রমণের প্রসঙ্গটি প্রথমে এসেছিল অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকারে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের ব্যাংক ভ্রমণের কথাটি উল্লেখ করেছিলেন।নিরাপত্তা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান সংস্থা (সিবিআই) তদন্তের সময় এ বিষয়গুলো সংবাদ মাধ্যমে বড় করে সামনে আসে।

রিয়ার দাবি, এ ভ্রমণে সুশান্ত ৭০ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন। এই সূত্রে সুশান্তের ব্যবস্থাপক আরও যোগ করেন, শুধু তাঁরা দুজন নয়, মোট সাতজন ছিলেন সেবারের ভ্রমণে। সুশান্ত ছাড়া বাকি পাঁচজন ছিলেন কুশাল জাভেরি, সিদ্ধার্থ গুপ্ত, আব্বাস, মোস্তাক ও সাবির। তাঁদের সঙ্গে সফরে যোগ দিয়েছিলেন সারা আলী খানও। মোট সাতজন ব্যাংকক ভ্রমণে ছিলেন। ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে সবাই ব্যাংককে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে ছিলেন। সুশান্ত ও সারা টানা তিন দিন হোটেলের রুমে ছিলেন। বাইরে বের হননি।

ব্যাংককের একটি দ্বীপের মধ্যে ছিল বিলাসবহুল হোটেলটি। সেবার তাঁরা ব্যাংককের সমুদ্রে ভাসতে আলাদা একটি স্পিডবোটও ভাড়া করেছিলেন। তবে শুধু প্রথম দিনই তাঁরা সবাই মিলে সমুদ্রে গিয়েছিলেন। বাকি দিনগুলো সারা আর সুশান্ত হোটেল থেকে বেরোয়নি। বাকিরা ঘুরেছেন নিজেদের মতো। সাবির আরও জানান, ব্যাংকক সফরের সময় শেষ হওয়ার আগেই সুশান্ত, সারা ও সুশান্তের দেহরক্ষী মোস্তাক বাদে বাকি সবাই ফিরে এসেছিলেন সুনামি সতর্কতার কারণে। সারা ও সুশান্ত কেন ফিরে আসেননি? প্রশ্নের উত্তরে সাবির জানান, সারার ফেরার টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই তাঁরা আগেই ফিরে এসেছিলেন। সুশান্তের এটিএম কার্ড দিয়েই টিকিট কাটা হয়েছিল। আসার পথে টাকা ফুরিয়ে গেলে সুশান্তের বন্ধু স্যামুয়েল মুম্বাই থেকে টাকা পাঠিয়েছিলেন।

সাক্ষাৎকারে সাবির আরও বলেন, ‘এসব সত্য কথা। লুকানোর কিছু নেই। আমার বিশ্বাস, সারা আলী খানও একদিন প্রকাশ্যে এসে মুখ খুলবেন। যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর তিনি দেবেন। কারণ, সারার মতো ভদ্র, অমায়িক মেয়ে আমি খুব কম দেখেছি। সুশান্তের বাড়ির সব সদস্যকে খুব সম্মান করত সারা। শুধু বলিউডের মাফিয়াদের জন্যই সারা-সুশান্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়।’