শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তীক্ষ্ণ দাঁতওয়ালা হাঙরের সঙ্গে ছবি ওশান রামসে নামে ডুবুরির

News Sundarban.com :
আগস্ট ২০, ২০২০
news-image

ছবি তোলার জন্য মানুষের কত রকমের পাগলামোই না আছে! ক্যামেরা আর সে রকম পরিবেশ হলে পটাপট ছবি তুলতে লেগে যায় অনেকে। এটা তেমনই এক খ্যাপাটেপনার গল্প। প্রশান্ত মহাসাগরের মতো গভীর সাগরে কেউ যদি একগাদা তীক্ষ্ণ দাঁতওয়ালা হাঙরের সঙ্গে ছবি তোলেন, এ ঘটনাকে পাগলামো বলবেন না তো কী বলবেন?

অনলাইনের খবরে জানানো হয়, মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে এক বিশাল হাঙরের সঙ্গে ছবি তোলার এই পর্বটি সারেন একদল ডুবুরি। ২০ ফুট দীর্ঘ ও প্রায় আড়াই টন ওজনের স্ত্রী হাঙরের গা ছুঁয়ে সাঁতার কেটেছেন তাঁরা। ২০ বছর আগে গবেষকেরা সাদা রঙের এই হাঙর সম্পর্কে জানতে পারেন। তার নাম দেওয়া হয় ‘ডিপ ব্লু’ বা ‘গাঢ় নীল’। হাওয়াইয়ের ওহু দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে একটি মৃত তিমির মাংস রেখে আকৃষ্ট করা হয় বয়স্ক ওই হাঙরটিকে।
ওশান রামসে নামে ডুবুরি দলের একজন হনলুলু স্টার অ্যাডভারটাইজারকে জানান, মৃত ওই তিমির মাংস টাইগার শার্ক বলে পরিচিত এক জাতের হাঙর এসে খাচ্ছে—এমন দৃশ্য তাঁরা ভিডিও করার প্রস্ততি নেন। এ সময় কিছু টাইগার শার্কের সঙ্গে ‘ডিপ ব্লু’ নামের ওই হাঙরটি সেখানে এসে হাজির হয়। সে এসে ডুবুরিদের নৌকাটিকে নাড়া দিতে থাকে।সূর্যোদয়ের সময় ডুবুরিরা সেখানে গিয়েছিলেন। দানবাকৃতির শান্ত সুন্দর ডিপ ব্লু সারা দিন তাঁদের সঙ্গে ছিল। ডিপ ব্লু গর্ভবতী বলে ধারণা করছেন ডুবুরিরা।
সাদা রঙের দানবাকৃতির এই বাচ্চাগুলোকে সচরাচর হাওয়াইতে দেখা যায় না। এ ধরনের হাঙর অপেক্ষাকৃত শীতল শান্ত সাগর পছন্দ করে।ওশান রামসে বলেন, হাঙর যখন মানুষকে ওদের স্বাভাবিক শিকার মনে করে আর কৌতূহলী হয়, তখনই কেবল আক্রমণ করে।-বিবিসি