বাসন্তীতে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় বোমাবাজী, গুলি বিদ্ধ এক
নিজস্ব প্রতিনিধি,বাসন্তী – গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে বাসন্তী ব্লকে হিংসা অব্যাহত। রবিবার সকাল থেকেই বাসন্তী ব্লকের চড়াবিদ্য গ্রাম পঞ্চায়েতের মিশন বাজার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ও যুব তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত নির্দলদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গুলি ও ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী। ঘটনায় তৃণমূল কর্মী মহত সেখ ও সাহরুখ সেখ গুলি বিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন।স্থানীয়রা আহতদের কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাসন্তী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, এ দিন সকালে মহত সেখ বাড়ি থেকে বেরিয়ে চড়াবিদ্যার মিশন বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ সেই সময় যুবতৃণমূল আশ্রিত জনা ত্রিশ দুষ্কৃতি করিম মোল্লা ও আব্দুল সেখের নেতৃত্বে গুলি বোমাবাজী করে মহত সেখের উপর আক্রমণ চালায়।গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এই তৃণমূল কর্মী। অপর এক তৃণমূল কর্মী সাহরুখ সেখ কে বাড়ি থেকে তুলে এনে গুলি চালায় যুবতৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়। প্রকাশ্যে দিনের বেলায় এমন বোমাবাজী আর গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাসন্তী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
রবিবার সকালের ঘটনা প্রসঙ্গে বাসন্তী ব্লক তৃণমূল(মাদার) সংগঠনের নেতা মন্টু গাজী বলেন “বাসন্তী ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস কষ্ট করে শান্তির বাতাবরণ তৈরী করেছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সিপিএম ও আরএসপির কিছু হার্মাদ বাহিনী যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় তান্ডব চালিয়ে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরী করে চলেছে। পাশাপাশি বাসন্তী ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস কে উৎখাৎ করে ক্ষমতা দখলের জন্য হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে চরম উত্তেজনার পরিবেশ তৈরী করে চলেছে দুষ্কৃতিরা। আজকের সকালের ঘটনায় আমাদের দুই কর্মী সমর্থক গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ”
অন্যদিকে বাসন্তী ব্লক যুব তৃণমূল সংগঠনের নেতা আমান লস্কর বলেন “এটা একটা পারিবারীক বিবাদ। ঘটনায় দলের কোন সম্পর্ক নেই।গত কয়েকমাস আগে এলাকায় মহিলাদের মধ্যে একটা বচসা তৈরী হয়।সেই নিয়ে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। সেই ঘটনার জেরে আজকের এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে যুবতৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই।বাসন্তী ব্লক থেকে যুব তৃণমূল শেষ করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। যার ফলে বেশকিছু দুষ্কৃতি অঘটন ঘটিয়ে যুব তৃণমূল কংগ্রেস কে কালিমা লিপ্ত করে বদনাম করার চেষ্টা করতে চাইছে। ”