বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী
বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী। করোনার চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। একদিকে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন, চলছিল ডায়ালিসিস। সেই সঙ্গে আবা্র করোনায় করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। গত ৩০ জুলাই থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। অবস্থা খারাপ হওয়ায় ১ অগাস্ট থেকে ছিলেন ভেন্টিলেশনে।হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে দুবার হার্ট আ্যাটাক হয় তাঁর। দুপুর ২ টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। কোভিড-প্রোটোকল মেনেই হবে শেষকৃত্য।
শ্রমিক সংগঠন সিটুর রাজ্য সভাপতি ছিলেন তিনি। সামলেছেন রাজ্যের পরিবহন দফতরের দায়িত্বও। রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী। দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতার প্রয়াণে এক যুগের সমাপতন হল। হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁর লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে ফেসবুকে কন্যা ঊষসী লিখেছিলেন, ‘হাসপাতালে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি আছে বাবার।’ সম্প্রতি কন্যা ঊষসী চক্রবর্তী জানান, শ্রমিক নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক ওয়ালে একথা জানিয়েওছিলেন ঊষসী । লিখেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ফোন করে বাবার খোঁজ নিয়েছেন এবং প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে বলেছেন। পরিবারের তরফে আমি ওঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’