বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নাগেরবাজার মৃত ১
বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নাগেরবাজারের কাজিপাড়া এলাকা৷ একটি ফলে দোকানের সামনে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর৷ দমদম নাগেরবাজারের বিস্ফোরণে মৃত্য়ু হল একজনের। মৃতের নাম বিভাস ঘোষ(৭)। SSKM হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন৷তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমাণ,বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে৷ বিস্ফোরণের জেরে পাশের একটি বহুতলের নীচের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর৷ আহতদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নাগেরবাজার পুলিশ ও দমকল৷ মঙ্গলবার ঘিঞ্জি এলাকায় একটি ফলের দোকানের সামনে বিস্ফোরণটি হয় পৌনে ১০টা নাগাদ৷স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গীতার পেটে অস্ত্রোপচার চলছে৷ বাকি দুজনের চিকিত্সা চলছে আরজিকর হাসপাতালে৷ আহত বাকি ৯ জনের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গিয়েছে তারা হলেন পরাণ গুপ্ত, চন্দ্রশেখর গুপ্ত, সত্যজিৎ ঘোষ, বাসন্তী ঘোষ, দীপা গুপ্ত, বিভাস ঘোষ, হারাধন ঘোষ৷
মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ নাগেরবাজারের ঘিঞ্জি এলাকায় একটি ফলের দোকানের সামনে হঠাত্ বিস্ফোরণ হয়৷ বিস্ফোরণে তীব্রতা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে৷
প্রাথমিক ভাবে সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিধায়ক সুজিত বসুও। কিন্তু দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায় পালটা দাবি করেন, তাঁকে খুনের উদ্দেশেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ব্যাগে করে আনা হয়েছিল বোমা। তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও বিস্ফোরকের প্রকৃতি নিয়ে প্রথমে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস কমিশনার জানান, সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে নাগেরবাজারে। কিন্তু, তাতেও প্রশ্ন উঠছে, সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণে এতখানি তীব্রতা থাকা কি সম্ভব?
বিস্ফোরণের অভিঘাতে নাগেরবাজারে ওই বহুতলের বেশ কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিন তলার জানলার কাঁচ ভেঙে পড়ে। খাট থেকে পড়ে যান বহুতলের এক বাসিন্দা। পুলিসের দাবি মোতাবেক সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণের তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশই।