শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ এপ্রিল রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে উদ্দ্যগী রাজ্য সরকার

News Sundarban.com :
এপ্রিল ১২, ২০১৮
news-image

আগামী ১৩ এপ্রিল রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে উদ্দ্যগী রাজ্য সরকার। বনধের দিন সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করতে জারি হল গেজেট নোটিফিকেশন। যানবহন সচল রাখতে বাড়তি উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবহণ দফতরও। ধর্মঘটীদের হাতে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি হলে তার দায়ও নেওয়ার কথা জানাল রাজ্য সরকার।
বনধ রুখতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আগেও স্পষ্ট করেছিলেন। আবারও করলেন। রাজ্যে বনধ সংস্কৃতি আর চলতে দিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী । নীতিগতভাবেই আগামী ১৩ এপ্রিল বামেদের ডাকা ৬ ঘণ্টার ধর্মঘট মোকাবিলায় নামছে রাজ্য ৷
১৩ এপ্রিল রাস্তায় বেড়িয়ে কোনওভাবেই সমস্যায় পড়তে হবে না ৷ তা আগে থেকেই তা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। এই সূত্রেই নেওয়া হচ্ছে একাধিক ব্যবস্থা,
বনধের দিন সরকারি কর্মীদের অফিসে আসা বাধ্যতামূলক, বিশেষ কারণ ছাড়া ছুটি নিলে জবাবদিহি করতে হবে, কেউ অর্ধদিবস ছুটিও নিতে পারবেন না, পরিবহণ দপ্তরের হাতে থাকা সব বাস-ট্রাম রাস্তায় নামবে, সচল থাকবে জলপথও, ট্যাক্সি সহ বেসরকারি পরিবহণও সচল রাখার চেষ্টা হবে, এছাড়াও যে্ কোনও সমস্যায় পড়লে সাহায্য করতে থাকবে হেল্পলাইন ও কিয়স্ক। শিয়ালদহ-ধর্মতলা থেকে বিশেষ বাসের পাশাপাশি বাড়তি বাস চালাবে পরিবহণ নিগম। ধর্মঘটে বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুর হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণ মিলবে বলেও জানান পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
আগামী ১৩ এপ্রিল তৃণমূলের হিংসার প্রতিবাদে সকাল ৬ থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম শিবির ৷ ছ’ঘণ্টার এই ধর্মঘট নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ৷ রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও এখনও বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্নাতক স্তরের পরীক্ষা ৷ বনধ সফল করতে বিভিন্ন স্তরে চলছে প্রচার়। বনধ সংস্কৃতির বিরোধিতায় এর পাল্টা প্রচারে নামতে চলেছে রাজ্য প্রশাসনও।