শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তারাখসা রাতের সিম্ফনি

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২০, ২০২০
news-image

তারাখসা রাতের সিম্ফনি
শান্তা মারিয়া

মোমের নরম আলো
দূরাগত নক্ষত্রের উষ্ণতায়
মৃত্যুকে আবৃত করে।
উন্মোচিত হয় জীবনের অনন্ত আকুতি।
সময়ের মৃদুল প্রবাহে ভেসে যায়
সেইসব তারাখসা রাত,
ফাগুন পূর্ণিমা, দোলের আবীর
যজ্ঞের আগুন ছেড়ে উঠে আসে স্বাহা
চোখ মেলে ভস্মীভূত প্রেম।
চন্দ্রজ সংগীত বাজে
দূর, বহু দূরবর্তী জীবনের প্রাচীন মন্দিরে।
তখন কেবল রাত, সুবর্ণ রোদ্দুর তখন কেবল স্মৃতি
হরিকেলে অচেনা বন্দরে তখনও নোঙর করে
দুধসাদা ডিঙা মধুকর।
পার্বতীর কেশ থেকে ঝরে পড়ে অনার্য কুসুম।
ধান, দূর্বা, সুপারিতে গৃহকোণে আলো দেয়
মহালক্ষ্মী, ঢাকেশ্বরী।
সেইসব নিবিড় নিশীথে
ঝরে পড়া নক্ষত্রের মরাল সংগীতে,
কাঁসার থালায়, মাটির প্রদীপে
রয়ে গেছে আমাদের যাবতীয় বিনিময়
শব্দহীন দৃষ্টির সাক্ষরে।

 

চিনের ইউননান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক তিনি। নয়ের দশকের অন্যতম কবি শান্তা মারিয়া।ঢাকায় ১৯৭০ সালের ২৪ এপ্রিল তাঁর জন্ম।

বাবা ভাষাসৈনিক কমরেড মুহম্মদ তকিয়ুল্লাহ। ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহর নাতনি তিনি।ছোট চাচা বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী প্রয়াত মুর্তজা বশীর। শান্তা মারিয়ার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ “সকল দোকান বন্ধ ছিল”, ” এবং একতারা বৃক্ষ” ও “আমরা বলে কোনো গল্প নেই”।