শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নামখানা এবং পাথর প্রতিমার বন্দরগুলিতেও প্রয়োজন হিমঘর

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
news-image

ইলিশ-সহ হরেক মাছ মজুতের জন্য রাজ্যে আরও ৩টি নতুন হিমঘর হবে। প্রচুর ইলিশ। কিন্তু লাভের গুড় খেয়ে যাচ্ছেন পাইকাররাই। আর মৎস্যজীবীরা পড়ে রয়েছেন সেই তিমিরেই। এ কারনে নতুন হিমঘরের সিদ্ধান্ত।
শুক্রবার রাজ্যের মৎস্য দফতরের এক পদস্থ অফিসার বলেন, “যে পরিমাণ মাছ প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে, সংরক্ষণের অভাবে তার একটা বড় অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নতুন হিমঘরগুলো হলে মাছ সংরক্ষণের অভাব অনেকটাই মিটবে। এর দুটি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হওয়ার কথা. শীঘ্রই চূড়ান্ত স্থান নির্ধারিত হবে। “কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগরের বিভিন্ন বন্দর থেকে ধরা মাছ ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে আসে। প্রতি মরসুমে ভাল ইলিশের প্রায় ৯০ শতাংশ হিমঘরে ঢুকে যায়। ডায়মন্ড হারবারের এক পাইকার তথা হিমঘর মালিক বিজয় সাহু বলেন, ‘‘ভাল মাছ মানুষকে খাওয়াতে গেলে বড় মাছ রাখতে হয় হিমঘরে। তা সব সময় পাওয়া যায় না। তাই কেবল কাকদ্বীপ, বা নামখানা নয়, ওড়িশা এবং মায়ানমার থেকেও মাছ এনে মজুত করতে হয়।’’
কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা সতীনাথ পাত্রের দাবি, ‘‘খাটনি করছে মৎস্যজীবী শ্রমিকরা। কিন্তু বাজারের নিয়ন্ত্রণ রয়ে যাচ্ছে পাইকার এবং হিমঘর মালিকদের হাতে। তাই এখানকার মৎস্যজীবীরাও আরও বেশি সংখ্যায় হিমঘরের দাবি তুলেছে। যাতে মজুত করা মাছ পরে বিক্রি করা যায়।’’
কাকদ্বীপ বন্দরে ‘বেনফিস’-এর তরফে মাস কয়েক হল একটি ছোট সরকারি হিমঘর তৈরির কাজ শুরুও হয়েছে। কিন্তু মৎস্যজীবীদের জন্য এরকম আরও বেশ কয়েকটি প্রয়োজন। যে হিমঘরটি তৈরি হচ্ছে, কয়েক মাসে সেটি ব্যবহারযোগ্য হবে বলে দাবি করছেন মৎস্য দফতরের কর্তারা। কিন্তু সেটি মাত্র ১৫০ মেট্রিক টন মাছ মজুত করে রাখার মতো। ইলিশের ভরা মরসুমে এক দিনেই তার চেয়ে অনেক বেশি মাছ কাকদ্বীপ মহকুমার বিভিন্ন মৎস্য বন্দর থেকে ধরা পড়ে। নামখানা এবং পাথর প্রতিমার বন্দরগুলিতেও প্রয়োজন হিমঘর।