শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতে শিশুমৃতু্যর হার সর্বাধিক

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৭
news-image

গোরক্ষপুরের পর ফারুকাবাদ। লাগাতার শিশুমৃতু্যর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। তারপর থেকে একে অপরকে দোষারোপ করার পালা শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের এনসেফালাইটিসের প্রকোপ নতুন ঘটনা নয়। তবে চিকিত্সা কেন্দ্র বলতে একটাই। গোরক্ষপুরের বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ। আগস্ট মাসের শেষে যেখানে মোট শিশুমৃতু্যর সংখ্যা ২৯০-তে এসে ঠেকে। এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে সেখানে মোট ১২৫০ শিশুর মৃতু্য হয়েছে। ২০১৬ সালে সংখ্যাটা ৬১২১ ছিল। আর ২০১৪ সালে ৫৮৫০। গত ৪০ বছরে গোরক্ষপুরের ওই হাসপাতালে ২৫,০০০-এর বেশি শিশুর মৃতু্য হয়েছে। যারমধ্যে বেশিরভাগই সদ্যোজাত। সংবাদমাধ্যমের তত্পরতায় গোরক্ষপুরের মর্মান্তিক ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। তারপর থেকেই একে অপরকে দোষারোপ করার পালা শুরু হয়। অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি, নীতিজ্ঞানহীন চিকিত্সক, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্তৃপক্ষ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সহ নানা অভিযোগ উঠে আসে। তবে তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি। কয়েকদিন যেতে না যেতেই, রাজ্যের আর এক হাসপাতালের দুর্দশার চিত্র সামনে এসেছে। গোরক্ষপুর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে ফারুকাবাদের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে গত একমাসে ৪৯টি শিশুর মৃতু্য হয়েছে। অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধে ঘাটতি থাকাতেই নাকি এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জেলা শাসকের রিপোর্ট হাতে পেয়ে রাজ্য প্রশাসন সক্রিয় হয়েছে বটে। তবে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ নয়। আগস্ট মাসে রাজস্থানের বাঁসওয়ারা জেলা হাসপাতালে মোট ৮৬টি সদ্যোজাত শিশুর মৃতু্য হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে মহাত্মা গান্ধি মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে গত একমাসে শিশুমৃতু্যর সংখ্যা ৫২। এ বছর জানু্য়ারি মাস থেকে মোট ৯০টি শিশুর মৃতু্য হয়েছে কর্নাটকের কোলার জেলা হাসপাতালে। গত বছর মধ্যপ্রদেশে ছবছরের কম বয়সী প্রায় ২৮,০০০-শিশুর মৃতু্য হয়। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে, জন্মের ছমাসের মধ্যে ওড়িশায় প্রতিদিন একটি করে শিশুর মৃতু্য হয়েছে। গোটা ভারতবর্ষে সদ্যোজাত ও শিশুমৃতু্যর হিসেবে চোখ বুলিয়ে দেশের চিকিত্সাব্যবস্থার ভয়ঙ্কর চিত্র সামনে উঠে এসেছে।