রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদমাধ্যমের খবরের জের, টাকা ফেরত পেল ঋনগ্রস্ত ব্যাবসায়ী

News Sundarban.com :
নভেম্বর ৯, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি,নামখানা: সংবাদ মাধ্যমের খবরের জের, ঋণগ্রস্ত ব্যবসায়ীর টাকা ফেরালো তৃণমূল নেতা। ঋণ শোধের জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় একটি দোকান বিক্রি করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের রাধানগরের বাসিন্দা ব্যাবসায়ী উৎপল বারিক। আর সেই দোকান বিক্রির টাকা থেকে তৃণমূলের তহবিলে দিতে হয়েছিল সাত হাজার টাকা চাঁদা। তাকে দেওয়া হয়েছিল রশিদ। রসিদে সই ছিল রাধানগর ২৩১ নাম্বার বুথের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া, আদায়কারী হিসেবে সই ছিল ওই বুথের পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ণ পড়ুয়ার ভাই পঞ্চানন পড়ুয়ার। পঞ্চানন পড়ুয়া এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। রীতিমতো এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।এই খবর প্রকাশ করা সংবাদমাধ্যমে।সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে নামখানা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।

নামখানা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে শাসমল পুল বাজারে ব্যাবসায়ী উৎপল বারিকে সাত হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাধানগর ২৩১ নম্বর বুথ সভাপতি লক্ষীকান্ত পড়ুয়া ও পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ন পড়ুয়ার ভাই পঞ্চানন পড়ুয়াকে দল থেকে বহিস্কৃত করা হয়। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী উৎপল বারিক বলেন আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ভাবে দোকান বিক্রির টাকা থেকে তৃণমূল নেতা পঞ্চানন পড়ুয়া সাত হাজার টাকা নিয়েছিল এবং একটি তৃনমূল কংগ্রেসের রশিদ দিয়েছিল। এই খবর প্রকাশ করা হয় সংবাদমাধ্যমে । সংবাদমাধ্যম্যে খবর দেখে নড়ে চড়ে বসে নামখানা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।মঙ্গলবার দিন নামখানা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে আমাকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। আমি ধন্যবাদ জানাই নামখানা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্বদের।তাদের সহযোগিতায় আমি এই টাকাটি ফেরত পেলাম। পাশাপাশি আমি ধন্যবাদ জানাই সংবাদ মাধ্যমকে যারা আমার এই সমস্যার কথাটি তুলে ধরেছিলেন। আমার এই খবরটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না হলে আমি টাকা ফেরত পেতাম না। তিনি আরো একজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি হলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আসান আলী খান। তিনি বলেন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পরে আসান দা আমাকে প্রচুর সহযোগিতা করেছে। আমি চাই আসান দার মত ছেলে বাংলার প্রতিটি ঘরে জন্মায়। এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি শ্রীমন্ত কুমার মালী বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে এটি নামখানা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার নয়।  ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয় ও ওই বুথ সভাপতি ও পঞ্চানন পড়ুয়াকে দল থেকে বহিস্কৃত করা হয়েছে এবং দলের প্রতিটা নেতা ও কর্মীকে সাবধান করা হয়েছে যে আগামী দিনে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।