শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিধায়ক, জরুরী বৈঠক করলেন

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং – ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতালেই রয়েছে মাতৃমা। যেখানে শিশু ও মায়েদের আলাদা ভাবে চিকিৎসা হয়।এই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রতিদিনই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের রোগীরা আসেন চিকিৎসা পরিষেবার জন্য।ইদানিং হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা এবং কয়েকটি শিশু মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে।উল্লেখ্য এই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্তরে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটে।রোগীর পরিবার পরিজনদের কে শৌচালয় নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে রাত আটটার পর শৌচালয় বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন রোগীর পরিবার পরিজন। হাসপাতালের রান্না ঘরের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়,হাসপাতালের জল নিকাশী নালা গুলি ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। যা থেকে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে।আবার হাসপাতালের পানীয় জলের ট্যাঙ্ক ও অপিষ্কার অপরিচ্ছন্ন রয়েছে বলে রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনদের অভিযোগ। এমন ঘটনার খবর জানতে পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস।শুক্রবার দুপুরে এক জরুরী বৈঠক করেন বিধায়ক।হাসপাতালের স্নেক বাইট অডিটোরিয়াম হলে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে জরুরী বৈঠক চলে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পরেশ রাম দাস,ক্যানিং ১পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উত্তম দাস,পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অরিত্র বসু,তপন সাহা,দিঘীরপাড় পঞ্চায়েত প্রধান শিলাদিত্য রায়,ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ,ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুরেশ সরদার,সহকারী সুপার বসুমিতা আঢ্যি,চিকিৎসক সমরেন্দ্র নাথ রায় সহ নার্স ও চিকিৎসক গণ।বৈঠকে হাসপাতালের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছে,ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে রোগীরা যাতে ভালো এবং উন্নত মানের পরিষেবা পায় সেই বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।হাসপাতালে কি কি অসুবিধা রয়েছে এবং কি কি প্রয়োজন?সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচন হয়েছে বৈঠকে।বিগত দিনে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে দালাল রাজ চলতো। সেটা বন্ধ করতে পেরেছি। আগামীতে রোগীরা যাতে আরো ভালো পরিষেবা পায় সেদিকে নজর দেওয়া হবে।