১০ জনে খেলেও ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ান মোহনবাগান

ডার্বিতে মধুর প্রতিশোধের জন্য ডুরান্ড ফাইনালকে তুলে রেখেছিলেন মোহনবাগান প্লেয়ার থেকে সমর্থকেরা। আর বাস্তবে হলও তাই। এমন এক হাই ভোল্টেজ ম্যাচে শেষ ৩০ মিনিট ১০ জনে খেলেও ১-০ গোলে ম্যাচ জিতল মোহনবাগান।
এদিন ডুরান্ড কাপ ফাইনালের বল গড়ানোর পর থেকে প্রথম ৪৫ মিনিটে দেখা গিয়েছে কাঁটায়-কাঁটায় টক্কর মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দু-দলের মধ্যেই। সঙ্গে যোগ হয়েছিল হাই ভোল্টেজ ম্যাচের চাপ না রাখতে পারার সমস্যাও। ফলে বারবার হলুদ কার্ড বার করতে হয়েছে রেফারি রাহুল গুপ্তাকে। ৬০ মিনিটের মাথায় সিভেরিয়োকে বাজে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অনিরুদ্ধ থাপা। তখনও খেলার বাকি ৩০ মিনিট। মোহনবাগান ১০ জন হয়ে যেতেই মোহনবাগানের ওপর চাপ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল।১০ জন হয়ে যেতেই কিছুটা হলেও বেসামাল লাগতে থাকে মোহনবাগানকে। সেই সুযোগে বক্সের বাইরে বল পান ক্লেইটন সিলভার। ডান পায়ে শট নিলেও তা ঝাঁপিয়ে বাঁচালেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। এরপর ৭১ মিনিটে খেলার রং একেবারেই বদলে যায়। প্রতি-আক্রমণ থেকে বল ধরে অনেকটা দৌড়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।এরপর সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন নন্দকুমার। মহেশের ক্রসে বক্সের ভিতরে ফাঁকা জায়গা থেকে হেড দেওয়ার সুযোগ পেলেও সরাসরি বিশালের হাতে মেরে হেলায় হারান সে সুযোগ।তখনই যেন আঁচ করা যাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের ওপর বিমুখ ফুটবলদেবী।
এদিনের প্রথমার্ধ্বের খেলায় তবে দুটো দলই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না। মোহনবাগানের তুলনায় ইস্টবেঙ্গল অনেক বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধে রেগুলেশন টাইমের শেষে আরও ৪ মিনিট যে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল তারপ্রথম মিনিটে লাল-হলুদ ফুটবলার সাউল ক্রেসপো এমন একটি কাণ্ড করে বসেন যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে কলকাতার ফুটবল মহলে। সাদিকুর সঙ্গে তখন বল দখলের লড়াই চলছিল ক্রেসপোর। শেষপর্যন্ত ক্রেসপো আর না পেরে সাদিকুর পা পিছন দিক থেকে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেন। তাঁকে কার্যত ইচ্ছাকৃতভাবে টেনে নিচের দিকে নামিয়ে দেন।সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের ফুটবলাররা দৌড়ে আসেন। তাঁদের মধ্যে ঝামেলা সবেমাত্র শুরু হচ্ছিল। অবশেষে হস্তক্ষেপ করেন ম্যাচ রেফারি। ইস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলার ক্রেসপো আর বোরহাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। অন্যদিকে হলুদ কার্ড দেখেন মোহনবাগানের হুগো বুমোসও।