আমার লক্ষ্য বুথটাকে মডেল বুথ হিসেবে করতে চাই: মৌশুনির প্রার্থী বিশ্বজিৎ মাইতি

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের মৌশুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫৩ নম্বর বুথ থেকে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন বিশ্বজিৎ মাইতি। পার্থীর মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎকার নিলেন newssundarban.com এর রিপোর্টার ঝোটন রয় ।
প্রশ্ন: এবারে লড়াইটা কে আপনি কেমন ভাবে দেখছেন
উত্তর: এবারের লড়াইটা কে আমি লড়াই বলে মনে করছি না। তার কারণ ২০১১ সালে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর গ্রামবাংলায় উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে মৌশুনী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তাতে আমরা সুনিশ্চিত মানুষ আমাদের পাশে আছেন। মানুষের পাশে আমরা গিয়েছি। এই মুহূর্তে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। মানুষ আমাদেরকে দুহাত তুলে আশীর্বাদও করছেন।
প্রশ্ন: প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে আপনি কোন দলকে ভাবছেন।
উত্তর: প্রধান প্রতিপক্ষ সিপিআইএমকে ভাবছি।
প্রশ্ন: মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে কি কোনো সমস্যা হয়েছিল।
উত্তর: না কোনো সমস্যা হয়নি
প্রশ্ন: ভোটে জেতার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী।
উত্তর: জেতার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। তৃণমূল কংগ্রেস এই ২৫৩ নম্বর বুথ থেকে জিতবে।
প্রশ্ন: নির্বাচনে জিতে এলে আপনি কোন কাজগুলো বেশি জোর দেবেন।
উত্তর: আমাদের এই ২৫৩ নম্বর বুথ চিনাই নদীবেষ্টিত। যার ফলে আমরা রাস্তাঘাট করেছি কিন্তু নদী বাঁধের একটু সমস্যা রয়েছে। আমাদের মন্ত্রী সাহেব কে বলে প্রাথমিকভাবে কিছু কাজ হয়েছে। চিনাই নদীর বাঁধ যাতে আগামীদিনে আরো শক্তপোক্ত ভাবে তৈরি করা যায় তার ব্যবস্থা করব। এবং আমার লক্ষ্য বুথটাকে মডেল বুথ হিসেবে করতে চাই।
প্রশ্ন: সাধারণত যে সময় ভোট পর্ব হয় তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে গেছে। গ্রামগঞ্জের মানুষদের ক্ষেত্রে একটা চাষের মোরসুম। অধিকাংশ সময় চাষের কাজের জন্য ব্যস্ত। এরকম অবস্থাতে আপনার মনে হচ্ছে না যে ভোটে কোনো এফেক্ট পড়তে পারে।
উত্তর: আমাদের পশ্চিমবঙ্গ কৃষি প্রধান হওয়ার কারণে মানুষ চাষবাসের ক্ষেত্রে ব্যস্ত। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটার এবং কর্মীরা এটা আবেগের সঙ্গে নিয়েছেন। আজ বিরোধীদের বিভিন্ন রকম কুৎসা সত্বেও দিদি যেভাবে পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই যে লড়াই টা উনি করছেন সেই আবহাওয়া এবং সেই বার্তা ২৫৩ নম্বর বুথে কর্মী এবং ভোটারদের মধ্যে উনি দিতে পেরেছেন। মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির বাহক হিসেবে এবং আমি একজন প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের এবং কর্মীদের সেই বার্তা আমি দিতে পেরেছি। আমার বুথের ভোটার এবং কর্মীরা অনেক সচেষ্ট। আগামী দিনে এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপুল ভোটে জেতান।
প্রশ্ন: দুয়ারে ডাক্তার বা দুয়ারে পুলিশ এইগুলো আপনারা কেমন ভাবে দেখছেন। এই গুলি কি মনে হয় যে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল সরকারের কি এক্সট্রা ক্রেডিট হতে পারে।
উত্তর: সারা ভারতবর্ষের রাজনীতিতে বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা ব্যানার্জি একটা ফ্যাক্টর। উনি যেভাবে মানুষের পাশে থাকেন। দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্প গুলো আজ মানুষের উঠানে পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা তো মানুষের পাশে রয়েছি। দুয়ারে ডাক্তার এই প্রকল্পটি অত্যন্ত ভালো। গ্রামে গঞ্জের মানুষদের অনেকটা সাড়া ফেলে দিয়েছে। এই প্রকল্পে মানুষজন খুব উপকৃত হয়েছে।
প্রশ্ন: সভা সমিতির মাধ্যমে প্রচার, অথবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার কোনটার উপর আপনি বেশি জোর দিচ্ছেন।
উত্তর: আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে পচারের উপর বেশি জোর দিয়েছি।
প্রশ্ন: আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব বারবার বলেছেন বিভিন্ন মন্ত্রীদেরকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচারে ব্যস্ত থাকতে। এইরকম অবস্থাতে আপনারা কোন মন্ত্রী কে নিয়ে এসে প্রচার করতে চান বা প্রচার করেছেন।
উত্তর: আমাদের এই মুহূর্তে আমাদের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা উনি এসেছিলেন। মৌশুনী মানুষদের জন্য উনি বিশেষ করে ভাবেন। মৌশুনী বাসির আপদে-বিপদে উনি থাকেন। মানুষের পাশে উনি সর্বদা থাকেন। উনি আবারো ভোট প্রচারে আসবেন।