মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনে যারা বাঘের আক্রমণের শিকার হয় তাদের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থায় ‘ও এ আর’  

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, সুন্দরবন: সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে যারা বাঘের আক্রমণের শিকার হয় তাদের জন্য বিকল্প আয় নিয়ে তিনদিনের এক প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হলো পাথরপ্রতিমায়। ১৪, ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি তিনদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুর আদিবাসী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ও এ আর (OAR) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় তিন দিন ধরে এই প্রশিক্ষণ চলে। গত ১০ বছর ধরে সুন্দরবন শুধু নয়, সুন্দরবনের বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নের কাজ করে আসছে।

মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের শিক্ষা বিস্তারের কাজ করে এই সংগঠন। ২০২১ সালের শেষের দিকে সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুর গ্রামে “সুন্দরবন শিশু বিকাশ কেন্দ্র” নামে শবর জাতির শিশুদের জন্য একটি বিদ্যালয় চালু করেছে। মূলত যারা সাধারণ স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থায় একেবারেই আগ্রহী নয় কেবলমাত্র তাদেরকেই এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ পদ্ধতিতে শিশুদের জন্য খুব আনন্দদায়ক এবং খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে এই স্কুল যাতে আরো ভালোভাবে চলে তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশেষ করে শবর সমাজের যুবক এবং যুবতীরা যারা নিয়মিত গভীর অরণ্যে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যায় এবং বাঘের আক্রমণের শিকার হয় তাদের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রাণী পালন ও জৈব কৃষির উপরেও দেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ । এদিন মোট সুন্দরবনের ৭৫ জন শবর শ্রেণীর পুরুষ ও মহিলা এই ট্রেনিং নিয়েছেন। এই প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সম্পাদক বিকাশ বিশ্বাস, সহ সভাপতি হরেকৃষ্ণ দে, লোকাল কো-অর্ডিনেটর সহিদুল গায়েন, বিশিষ্ট শিক্ষক ব্যোমকেশ হুজ্জাইত, ভার্মিকালচারিস্ট অর্ণব দে ও পশ্চিম বঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু বেরা। এবিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক বিকাশ বিশ্বাস বলেন, শবর শ্রেণীর মানুষকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাবেন। অন্যদিকে অধ্যাপক শান্তনু বেরা বলেন, আদিবাসী মানুষেরা হাঁস, মুরগি, শুকর ও ছাগল পালন করতে অভ্যস্ত। তাদের সঠিক দিশা দেখাতে পারলে তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।