শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পানীয় জল আর ধার করতে হয় না, অবশেষে মিলল নলকূপ, আজ তারা খুশি

News Sundarban.com :
আগস্ট ১৩, ২০২২
news-image

newssundarban.com  এর খবরের জের

ঝোটন রয় ,নামখানা: অবশেষে অনলাইন বাংলা newssundarban.com এর খবরের জেরে আজ পানীয় জলের টিউবের পেল পূবের পাড়ার পালের ঘেরি এলাকার মানুষজন।

তাঁদেরকে আর অন্যের বাড়ি থেকে পানীয় জল ধার করতে হয় না। নদী পেরিয়েও অন্য গ্রামে গিয়ে জলও আনতে যেতে হয় না। আজ তারা খুব খুশি। বেশ কয়েকদিন আগে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূবের পাড়ার পালের ঘেরি এলাকা। একসময় ছিল নলকূপের বেহাল দশা।

যেখানে আট -দশখানা বসবাসকারী বাড়ি রয়েছে। ১২-১৪ বছর আগে শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত একটি পানীয় জলের টিউবওয়েল বসিয়ে দিয়েছিল। সেই টিউবয়েলে এখন আর উঠছে না পানীয় জল। এই বাড়িগুলোতে পানীয় জলের ঘাটতি মেটাতে তাঁদের নদী পেরিয়ে যেতে হতো চন্দন পিড়ি গ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন বয়স্ক বৃদ্ধ মা-বাবা। আবার কোনো ফ্যামিলিতে কেবলমাত্র বয়স্ক একজন বৃদ্ধাই রয়েছেন। এমত অবস্থায় প্রতিদিন নৌকায় করে নদী পেরিয়ে পানীয় জল আনতে যেতে হতো অন্য গ্রামে।

বলতে বলতে সামনেই বর্ষাকাল। বর্ষাকালে নদীতে ওই নৌকা মাঝে মাঝে বেহাল অবস্থায় থাকে। কখনো কখনো প্রচন্ড বর্ষায় বেশিরভাগ সময় নৌকাতে জল ঢুকে নৌকা ডুবে যায়। এমত অবস্থায় তাঁদের সোলের চাপ এর ওপর নির্ভর করে ওপার থেকে পানীয় জল আনতে হতো। তাদের দুঃখে ব্যথিত শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে শিবরামপুর পঞ্চায়েত বসিয়ে দিয়েছে পানীয় জলের নলকূপ। আজ তারা খুশি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থায়ী বাসিন্দা বলেন, আমরা খুশি হয়েছি বর্ষার আগেই শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করেছে। আমাদের এই পুবের পাড়ায় মিষ্টি জলের পুকুর তেমন নেই বললেই চলে। জামা কাপড় কাঁচা থেকে শুরু করে স্নান সবটাই অনেক দূরে একটি মিষ্টি জলের পুকুর রয়েছে সেখানে গিয়ে করতে হয়।
সে যাই হোক পানীয় জলের জন্যই আমরা টিউবওয়েল তো পেয়েছি। ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না শিবরামপুর পঞ্চায়েতকে। সঙ্গে ধন্যবাদ জানালেন newssundarban.com কে।

এই প্রসঙ্গে শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা কাঁপ বলেন, আমরা শীঘ্রই নলকূপ বসিয়ে দিয়েছি। ওদের খুশিতে আমরাই খুশি।

এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য তথা সমাজসেবী অখিলেশ বারুই বলেন, পরিবেশ পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে ইয়াস ঝড়ের পর ওখান কার টিউবওয়েলটি খারাপ হয়ে যায়। যার মাধ্যমে হোক না কেন এটা ভালো দিক তুলে ধরেছিলেন। পঞ্চায়েত এই বিষয়টি জানলেও অফিসিয়ালি পারপাসে ব্যবস্থা নিতে একটু দেরি হয়েছিল। কিন্তু আজকের টিউবওয়েলটি বসিয়েছে। যারা আমাদেরকে তড়িঘড়ি করে টিউবওয়েলটি বসানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাদেরকেও কৃতজ্ঞতা জানাবো। এটা বসে যাওয়ার পর এখানকার মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এটা সত্যি আমাদের কাছে একটা ভালো দিক। ওখানকার মানুষ আর পানীয় জল থেকে বঞ্চনার শিকার হবে না বলে আমরা মনে করি।