শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাঝারি আকারের ঘরিয়াল উদ্ধার নামখানা ব্লকে

News Sundarban.com :
মে ২৫, ২০২২
news-image

ঝোটন রায়, নামখানা :

মাঝারি আকারের ঘরিয়াল উদ্ধার করে বনদপ্তরে এর হাতে তুলে দিলেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে নামখানা ব্লকের রাজনগর এলাকার অত্রি পাড়ায়। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের মতো প্রায় সাড়ে তিন ফুট দৈর্ঘ্যের এই ঘরিয়ালটি দেখতে পায় নগেন দলপতি। ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে চেঁচামেচি শুরু করে। চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসে পাড়ার মানুষজন। এসে দেখে জঙ্গলের মধ্যে ঘরিয়ালটি রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী ঘরিয়ালের মুখটি দড়ি দিয়ে বেঁধে ডাঙ্গায় নিয়ে আসে। এই খবর চাউর হতেই শুরু হয়ে যায় ঘড়িয়াল দেখতে আসার ভিড়। পাশেই রয়েছে সাতমাইল বাজার। পথচলতি মানুষজন থেকে শুরু করে মৌসুনি আইল্যান্ডে যাওয়ার টুরিস্ট এমনকি, অন্যান্য এলাকা থেকে মানুষজন ছুটে আসেন এই প্রাণীটি দেখতে। কেউ কেউ

আবার ফোনে ছবি তোলার জন্য ও ব্যস্ত হয়ে ওঠে। বনদপ্তরে খবর দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তরের আধিকারিকরা এসে প্রানীকে নিয়ে যায়।

নগেন বাবু বলেন, আমি প্রায় সময় এই ছোট নদীতে মাছ ধরতে আসি। আজ মাছ ধরতে গিয়ে দেখি কুমির প্রজাতির এই প্রাণীটি জঙ্গলের মধ্যে শুয়ে রয়েছে। আমি প্রথমে দেখে হকচকিয়ে যাই। দেখলাম এই প্রাণীটি আমার চেনা নয়। তাই আমি চিৎকার শুরু করি সবাই ছুটে আসে।

অন্যদিকে সুন্দরবন ডেভলপমেন্ট বোর্ডের এক আধিকারিক সুভাষ আচার্য বলেন , এই ঘড়িয়াল প্রজাতি এখন বিলুপ্তির পথে। এটি মূলত মিষ্টি জলে থাকে। কোনো কারনে এটি ভাটার টানে সরু নদীতে চলে আসে। জীব বৈচিত্রের কারণে একে বাঁচানো আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ শান্তনু বেরা বলেন, এই ঘড়িয়াল প্রজাতি মূলত মিষ্টি জলের প্রাণী। ডায়মন্ড হারবার নদীর ওইদিকটায় বেশি দেখা যায়। মূলত এরা নদীর মাছ খেতে ভালো বাসে। এখন এর মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি। এর সংখ্যাটা আস্তে আস্তে করে কমে যাচ্ছে।