শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু হার বাড়ল প্রায় ৫০ শতাংশ, জেলা স্তরে লকডাউন জারি করার ছাড় জেলাশাসকদের

News Sundarban.com :
জুলাই ১৯, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেক্স:  রাজ্য সরকারের যাবতীয় দাবি, আশ্বাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্রমশ করাল ছায়া বিস্তার করছে করোনা। রবিবার মাত্র একদিনে ৩৬জন করোনার বলি হয়েেছেন।একদিনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে রাজ্যে এখনো পর্যন্ত সর্বাধিক মানুষ রবিবার এসেছেন করোনার কবলে। এই সময় নতুন করে রেকর্ড সংখ্যক আরও ২২৭৮ জন নভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। রাজ্য সরকারের দাবি পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ছে বলে সংক্রমণের হার বাড়ছে। কিন্তু মৃত্যুহার লাফিয়ে কেন বাড়ছে তা নিয়ে কোন সদুত্তর নেই স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। শনিবার করোনা প্রাণ নিয়েছিল ২৭ জনের। স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুসারে রবিবার প্রাণ গেছে আরও ৩৬ জনের। অর্থাৎ একদিনে মৃত্যুহার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এমত অবস্থায় কেন্দ্রীয় ভাবে সারা রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা না করলেও জেলায় জেলাশাসকদের হাতে শহর বা অঞ্চল ভিত্তিক লক ডাউন জারি করার অধিকার দিয়েছে নবান্ন।যেভাবে কলকাতা ও সংলগ্ন তিন জেলায় করোনা ভয়াল আকার নিয়ে দেখা দিচ্ছে তাতে ঘুরিয়ে এসব এলকায় ফের একবার সম্পূর্ণ লকডাউনের পথেই হাঁটা হল বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। ইতিমধ্যেই দমদমের তিন পুরসভা, নৈহাটি, মধ্যমগ্রামের মত বিভিন্ন এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবারের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুসারে এই নিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪২ হাজার ৪৮৭। অন্যদিকে এই সময়ে এখনো পর্যন্ত আরো ৩৬ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ জন কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। ফলে এই নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল এক হাজার ১১২ জন। যার মধ্যে ৫৭৬ জন কলকাতার বাসিন্দা।বর্তমানে ১৬ হাজার ৪৯২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই সময় রেকর্ড সংখ্যক সর্বাধিক আরও ১ হাজার ৩৪৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ফলে মোট ২৪ হাজার ৮৮৩ জন রোগী আরোগ্য লাভ করলেন। আরোগ্যের হার আরও কমে হয়েছে ৫৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ১৩ হাজার ৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৩ হাজার ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলো।

এদিকে শহর অথবা অঞ্চলভিত্তিক এলাকায় সংক্রমণ পরিস্থিতি বুঝে সেখানে সম্পূর্ণ লকডাউন করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে নবান্ন থেকে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কলকাতা পুলিশ কমিশনার কে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত কড়া ভাবে লকডাউন চালিয়ে যেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যস্তরে যেসব কন্টেন্টমেন্ট জোন রয়েছে সেখানে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত কড়া ভাবে লক ডাউন পালন করা হবে বলে ও জানান হয়েছে।