বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাঘেও জারি থাকবে বাঘের শীত

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
news-image

মাঘেও জারি থাকবে হাড় কাপানো শীত। এমনই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পশ্চিম বাংলাদেশের উপর ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে সরতে শুরু করেছে। তবে ঘূর্ণাবর্ত থাকলেও পারদ বাড়ার কোনও সম্ভাবনা থাকছে না। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ফলত মাঘেও কড়া ঠাণ্ডা অনুভূত হবে সমগ্র রাজ্যে জুড়এ।
বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ঠাণ্ডার প্রভাব কিছুটা কমেছিল। এতেই কাবু রাজ্যবাসি। প্রশ্ন উঠছিল পৌষে কি তাহলে ঠাণ্ডার প্রভাব কমে যাবে? হাওয়া অফিস অভয় দিয়েছে। নতুন করে পারদের ব্যাপক পতন না হলেও রাজ্যের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কম থাকবে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ রবিবার পৌষ মাস শেষ হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মাঘ মাস। সেখানেও জারি থাকবে শীতের দাপট।
শুক্রবার থেকে ক্রমশ উঠতে শুরু করেছিল পারদ। ১১.৭ থেকে শনিবার ১১.৯ হয়ে রবিবার ১২তে উঠে আসে কলকাতার তাপমাত্রা তবে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে এই পারদের উঠে আসা ওই ঘূর্ণাবর্তের জন্য। পশ্চিম বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই সরতে শুরু করেছে দক্ষিন-পশ্চিম বাংলাদেশের দিকে। এটা পুরো সরতে আরও দিন তিনেক সময় লাগবে। তবে তিন দিনে পারদ বিশেষ বাড়বে না। যথেষ্ট কম তাপমাত্রাই থাকবে রাজ্যে প্রত্যেকটি স্থানে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, “ঘূর্ণাবর্ত বিশেষ না সরলেও তা শীতের উপর প্রভাব পড়বে না কারন জম্মু ও কাশ্মীর হয়ে যে ঠাণ্ডা হাওয়া উত্তরপ্রদেশ হয়ে রাজ্যে আসছে তা এখনও অব্যাহত রয়েছে।” এর ফলেই বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্ত কোনও প্রভাব ফেলছে না। দিন দিনেক সময় লাগবে ঘূর্ণাবর্ত সরতে। তখনও এই ঠাণ্ডা হাওয়ার প্রভাব কমার সম্ভাবনা দেখছেন না আবহবিদরা। তাই পৌষের পর মাঘেও জারি থাকবে শীতের ব্যাটিং।
আবহবিদ গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, “এতদিন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে থাকছিল। এই কয়েকদিন তাপমাত্রা দিনের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩এর মধ্যে থাকবে। পরে সেটা ২২ থেকে ২৩-এ যাবে।” এটাও যথেষ্ট ঠাণ্ডা বলেই দাবি করছেন তিনি। যেহেতু ঠাণ্ডা হাওয়া আসা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম তাই ঘূর্ণাবর্ত সরলে ফের পারদ পতন হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই। ফলত মাঘেও থাকবে বাঘের শীত। টানা এমন শীত শেষ বিগত কয়েক বছরে খুব কমই পেয়েছে রাজ্য। শীতের দিক থেকে এখন ভালো সময় যাচ্ছে বলাই যায়। এদিন আলিপুরের তাপমাত্রা ছিল ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম।
পাশাপাশি রাজ্যের অন্যন্য জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা কমই ছিল। বালুরঘাটের তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোচবিহারের তাপমাত্রা ছিল ৫.২ ডিগ্রি। দমদমের তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি। কালিম্পঙের তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি। মালদার তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি। পানাগড়ের তাপমাত্রা ছিল ৬.৬ ডিগ্রি। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি।