শিয়ালদা থেকে ডানলপ পৌঁছে যাবেন চোখের নিমেষেই, তৈরি হচ্ছে জোড়া উড়ালপুল
তৈরি হচ্ছে জোড়া উড়ালপুল, চোখের নিমেষেই এবার শিয়ালদা থেকে ডানলপ পৌঁছে যাবেন । বিভীষিকার আরেক নাম হয়ে উঠেছে বিটি রোড। একইসঙ্গে চওড়া হচ্ছে ডানলপ থেকে বারাকপুর পর্যন্ত বিটি রোডও। উত্তরকে সচল করতে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের। প্রথম উড়ালপুলটি শুরু হবে রাজাবাজার ট্রামডিপোর সামনে থেকে। রাজাবাজার, মানিকতলা, খান্না হয়ে উড়ালপুলটি শেষ হবে বাগাবাজার বাটায়। রাজাবাজার থেকে বাগবাজার পর্যন্ত উড়ালপুলটির দৈর্ঘ্য হবে ৪.৮ কিলোমিটার। তবে, এক্ষেত্রে একটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি মূর্তির ওপর দিয়ে উড়ালপুল গেলে বিতর্ক হতে পারে। তাই মূর্তি সামান্য সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দফতর।
অন্যদিকে, টালা ব্রিজ পেরনোর ঠিক পর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় উড়ালপুলটি। সেখান থেকে চিড়িয়ামোড়, সিঁথিমোড় হয়ে উড়ালপুল চলে যাবে সোজা ডানলপ পর্যন্ত। টালা থেকে ডানলপ পর্যন্ত উড়ালপুলটি হবে ৬.২ কিলোমিটার দীর্ঘ। ডানলপ মোড়ের কাছে এসে দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাবে উড়ালপুলটি। একটি ভাগ চলে যাবে ব্যারাকপুরের দিকে, অন্যটি দক্ষিণেশ্বরের দিকে। দুটি উড়ালপুলই ছয় লেনের হবে। ফলে চোখের নিমেষে আপনি শিয়ালদা থেকে সোজা ডানলপ পৌঁছে যাবেন।উড়ালপুল তৈরিতে কোনও গড়িমসি চায় না রাজ্য। একইসঙ্গে, যান চলাচল আরও সচল করতে চওড়া হচ্ছে বিটি রোডও। ডানলপ থেকে বারাকপুর পর্যন্ত বিটি রোড ছয় লেন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বারাকপুর থেকে বারাসাত পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা হচ্ছে। ডিপিআর তৈরির জন্য পূর্ত দফতরকে তিনমাস সময় দেওয়ার হয়েছে। তারপরই ডাকা হবে টেন্ডার। বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই জোড়া উড়ালপুল তৈরির কাজ করবে পূর্ত দফতর। প্রস্তাবিত প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। দমবন্ধ করা জ্যামে অফিস টাইমে ১৫ মিনিটের রাস্তা পেরোতে লাগে ১ ঘণ্টা।জোড়া উড়ালপুলের সুবাদে কয়েক বছরের মধ্যে এছবি উধাও হয়ে যাবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার।