বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্যানিংয়ে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহাসিক বাইক মিছিল,কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: সামনেই ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের সংগঠন কে চাঙ্গা করে শক্তিশালি করতে শুরু করে দিয়েছে মিটিং মিছিল।রাজ্যের শাসকদল আগামী বিধানসভা নির্বাচন কে পাখির চোখ করে একাধিক কর্মসূচি নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে সংগঠন কে আরো বেশি শক্তিশালি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে একাধিক বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল জারী রেখে সর্বত্র।

অন্যদিকে তৃণমূলের সব স্তরের নেতা নেত্রীরা বিধানসভা ভোটে টিকিট পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মিটিং মিছিল করছেন। গত ১১ ডিসেম্বর বিধায়ক শ্যামল মন্ডলের নেতৃত্বে ক্যানিং শহরে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হয়। পরের দিন ১২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের বিরুদ্ধে পাল্টা যুবতৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবাদ মিছিল করে। মিছিল করে ক্যানিং শহরে।মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে বহিরাগত বিধায়ক চাই না। ক্যানিংবাসীর কাজের জন্য বিধায়ক হিসাবে পরেশরাম দাস কে দেখতে চাই। শাসক দলের মধ্যে গোষ্ঠি কোন্দল হওয়ায় নিজেদের মধ্যে মিছিলের পাল্টা মিছিল হয় বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণ।

পাশাপাশি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠির প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়িও হয়।সেই মিছিলের মাত্র চারদিনের মধ্যে আবারও পথে নামলো ক্যানিং ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস।বুধবার সকালে ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনী থেকে এক ঐতিহাসিক বাইক মিছিল হয়।জেলার তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর পরেশরাম দাসের নেতৃত্বে প্রায় ২০০০ বাইক এ হাজার পাঁচেক যুবতৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক অংশ গ্রহন করে।

নিকারীঘাটা,দাঁড়িয়া,হাটপুকুরিয়া,বেলেগাছি হয়ে দীর্ঘ প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করে।ক্যানিং বাসষ্ট্যান্ডে শেষ হয় এই বাইক মিছিল। এদিনও মিছিলে স্লোগান ওঠে বহিরাগত বিধায়ক চাই না। পরেশরাম দাস কে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক হিসাবে দেখতে চাই। ”
বাইক মিছিল প্রসঙ্গে জেলার তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর পরেশরাম দাস বলেন “অপদার্থ কেন্দ্রীয় সরকারের কালা কৃষি বিল নিয়ে আমাদের মা-মাটি-মানুষ সরকারের আন্দোলন জারী থাকবে।”
অন্যদিকে বাইক মিছিল প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার বিজেপি সম্পাদক সঞ্জয় নায়েক কটাক্ষ করে জানিয়েছেন “নিজেরাই গোষ্ঠি কোন্দলে জর্জরিত।দলের মধ্যে কেউ কাউকে নেতা হিসাবে মানে না।

সকলে নেতা হতে চায়। তা ছাড়া তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। আন্দোলনের নামে প্রতিদিন রাস্তাঘাটে মিছিল মিটিং করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ বোকা নয়। ২০২১ এ তৃণমূলের সলিল সমাধি ঘটবে। শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা।”