ছ’বছরের শিশু সপাটে চড় মারধর করলেন চিকিৎসক
কলকাতা হৃদয় প্রতিস্থাপন করে বেনজির সাফল্য লাভ করল চিকিৎসাবিজ্ঞান। একদিকে কলকাতাবাসী সাক্ষী চিকিৎসা ব্যবস্থার এক নয়া রূপের। কিন্তু আজ চিকিৎসকের এক অন্য রূপ দেখ্ল কলকাতাবাসী। যার জেরেনতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।আর তার শিকার হল ছ’বছরের শিশু। দাঁত তুলতে গিয়ে বিপত্তি। কিছুতেই ইনজেকশন নেবে না ছ’বছরের শিশু। মুখ চেপে বন্ধ করে রেখেছে। শাস্তি দিতে শিশুটির গালে সপাটে চড় কষালেন চিকিৎসক। দাঁত তোলার সাঁড়াশি দিয়ে চলল মারধরও। নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুর পরিবারের সদস্য। গ্রেফতার অভিযুক্ত চিকিৎসক। বেশ কিছুদিন ধরেই দাঁতের ব্যথায় কাবু ছ’বছরের জাহ্নবী সাহা। বাড়ি পূর্ব পুটিয়ারির আনন্দপল্লীতে। এক্স-রে করিয়ে বুধবার মেয়েকে রানিকুঠী লায়ন্স ক্লাব হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বাবা মা। রিপোর্ট দেখে দাঁত তোলার পরামর্শ দেন চিকিৎসক রণদীপ সিনহা। মাড়ি অবশ করতে ইনজেকশন দিতে হবে। কিন্তু ইনজেকশনে ভীষণ ভয় ছ’ বছরের শিশুর। শুরু হয় বায়না। মুখ চেপে বন্ধ করে রাখে সে। পরিবারের অভিযোগ, এরপরই চিকিৎসক সপাটে চড় মারেন জাহ্নবীকে। সঙ্গে দাঁত তোলার সাঁড়াশি দিয়ে মারধরও করা হয়।
জাহ্নবীর কান্না শুনে ভিতরে ঢুকে মেয়ের শরীরে কালশিটে দেখতে পান মা। এরপরই নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত চিকিৎসক রণদীপ সিনহাকে। মারধরের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুর বায়নায় তাকে না বুঝিয়ে এভাবে মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার যোগাযোগ করেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে।