রাজ্যের বহু সেতুর বেহাল দশা
মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর এই সব সেতু নিয়ে ভরসার জায়গাটা নড়বড়ে হয়েছে। দ্রুত আশ্বাসের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কিন্তু কবে। উত্তর নেই প্রশাসনের। ছোট গাড়ি গেলেই কাঁপুনি। এই বুঝি ভেঙে পড়ল। ব্রিজ থেকে মাঝেমধ্যে চাঙড় ভেঙে পড়ায় আশঙ্কা আরও বেড়েছে। ডায়মন্ডহারবার থেকে ক্যানিং। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সেতু নিয়ে চিন্তা বাড়ছে পথচারী ও গাড়িচালকদের। ক্যানিং মহকুমার যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই সাতমুখী সেতু। পর্যটনকেন্দ্র ডাবু কিংবা জামতলা বা হেড়োভাঙা যেতে হলে এই সেতুই একমাত্র পথ। অথচ ব্রিজের উপরে একাধিক জায়গায় গর্ত। মেরামতির কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ। খুঁটি দিয়ে আপাতত ঠেকনা দেওয়া রয়েছে।
ক্যানিং থেকে সুন্দরবন যাওয়ার জন্য সড়কপথে একটাই পথ। তা হল মাতলা সেতু। সাত বছরের মধ্যে সেতুর একাধিক জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। গাড়ি চালকদের অভিযোগ মেরামতি হলেও তা দায়সারা। দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর উপর দেওয়াল তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এই দেওয়ালের চাপে কি সেতুর উপর চাপ পড়ছে?
১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে মগরাহাট খালের উপর রয়েছে সেতুটি। সড়কপথে কাকদ্বীপ, নামখানা সহ সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকার সঙ্গে কলকাতার সংযোগ এই সেতুর মাধ্যমে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ষাট বছর পুরনো এই নতুনপোল সেতু দিয়ে ভারী গাড়ি গেলেই দুলতে থাকে। দিনে কয়েকশো গাড়ির চাপ। এরই মধ্যে সেতুর গায়ে গজিয়ে উঠেছে গাছ। মাঝেমধ্যে ভাঙে চাঙড়। চিন্তা বাড়ছে স্থানীয়দের।