রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমার স্বামীকে যারা খুন করেছে তাদের ফাঁসি দিক: তানজিলা মোল্লা

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২৯, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, গোসাবা: স্বামী খুন হয়েছেন এখন ২৪ ঘন্টা কাটেনি। বারে বারে কান্নায় মূর্ছনা হয়ে পড়ছেন তৃণমূল বুথ সভাপতি মুছাকালি মোল্লা’র(৩৭) স্ত্রী তানজিলা মোল্লা।একই ভাবে ছেলের খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়ে কেঁদে চলেছেন মৃতের বৃদ্ধ বাবা নূর মহম্মদ মোল্লা।বর্তমানে মোল্লা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।পরিবারের নাওয়া খাওয়া প্রায় বন্ধ।পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাক্ রুদ্ধ।গোটা এলাকায় চলছে পুলিশি ঢহল।এ পর্যন্ত তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হল ফারুক বৈদ্য,রউফ মোল্লা,ইমরান মোল্লা,আনার জমাদার। ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছে পুলিশের তরফে।

উল্লেখ্য সোমবার তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে নদীর জলে চুবিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠছিল তৃণমূল কংগ্রেস দলেরই অন্দরে।মৃতের পরিবারের দাবী তৃৃণমূলের যুব’রাই খুন করেছে।ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ইজাজ আহমেদ মোল্লা।আহত ইজাজ বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন কোষ্টাল থানার রাধানগর-তারানগর পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রাম।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রাধানগর এলাকায় পথশ্রী প্রকল্পে এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই সময় কাজের গুণমান ঠিকঠাক হচ্ছে না এবং সিমেন্ট কম দেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ নিয়ে ঠিকাদার বাকিবুল্লা মোল্লা ও তার কর্মীদের সাথে গন্ডগোল বাধে স্থানীয় ৮৪ নম্বর বুথের তৃণমূল বুথ সভাপতি মুছাকালি মোল্লার।অভিযোগ সেই সময় বাকিবুল্লার লোকজন মুছাকালি মোল্লা কে লাঠি রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় নদীর জলে চুবিয়ে খুন করার চেষ্টা করে। সেই সময় মোছাকুলি কে উদ্ধার করতে ইজাজ আহমেদ মোল্লা দৌড়ে যায়। অভিযোগ তাকেও বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।ঘটনার খবর পেয়ে মুছাকুলির অন্যান্য লোকজন দৌড়ে আসে। তারা তাদের কে উদ্ধার করে।চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি গোসাবা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বুথ সভাপতির।পরিবারের লোকজন মৃতদেহ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারীক দিবাকর দাসের নির্দেশে ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে হাজীর হন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জানাল) পার্থ ঘোষ।তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জানাল) পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন,ছোট দুটি গোষ্ঠির মধ্যে মারামারি হয়েছে। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ৪ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর যারা জড়িত রয়েছে তাদের কে ধরার জন্য তল্লাশি অভিযান চলছে।’