শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল মৌশুনীর সৌমিতা, স্বপ্ন পূরণে বাধা আর্থিক অনটন

News Sundarban.com :
জুলাই ২২, ২০২৩
news-image

শিল্পা মাইতি, নামখানা: বাবা কৃষক। নিজেদের বলতে কয়েক বিঘা চাষের জমি ও ছাদ ফেলা দু কামরা ঘর। যদিও এই ঘরটি তৈরি হয়েছে কিছুদিন আগে। অতীতে ইয়াসের মত ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়েছিল মন্ডল পরিবারের টালির দোচালা মাটির বাড়িটি।

এরপরে ধার দেনা করে কোনরকম করে ছাদফেলা এই বাড়িটি তৈরি করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের মৌশুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা স্বপন মন্ডল। তবে দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে আজ ও রয়েছে অভাবের ছায়া। চাষবাস করে কোনো রকমে চলে সংসার। তার ওপরে দুই মেয়ের পড়াশোনা। রয়েছে অসুস্থ বাবা মায়ের চিকিৎসা।

অভাবের সংসারে এই টানাটানি ছবিটাও খুব চেনা ছিল মন্ডল পরিবারের বড় মেয়ে সৌমিতার। অভাব এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাথে লড়াই করতে করতে সে আজ বড় হয়েছে। বহুবার সে ঘূর্ণিঝড় ও নদী বাঁধ ভেঙে গোটা গ্রাম নোনা জলে প্লাবিত হতে দেখেছে। আজ সেই সৌমিতা বড় হয়েছে।সে জীবনে আরো বড় হতে চায়। ভবিষ্যতে সে স্বাস্থ্য পরিসেবায় কাজ করতে চায়। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? জানা নেই তার। কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। অভাবের সংসারের লড়াই করে ৪৬৩ নাম্বার পেয়ে মৌশুনীর মুখ উজ্জ্বল করেছে বাগডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সৌমিতা মন্ডল। কিন্তু এত নাম্বার পাওয়ার পর ও চিন্তিত সৌমিতা। কারণ এই সৌমিতা জানে কতটা লড়াই করলে তবেই জীবনের একটি দিন অতিক্রান্ত হয়। মেয়ের ফলাফলে খুশি পরিবারের প্রত্যেককেই। তবুও দিশাহরা হয়ে পড়েছে সৌমিতার বাবা স্বপন মন্ডল।

কিভাবে মেয়েকে পড়াশোনা করাবেন? তা জানা নেই তাঁর। আর্থিক অনটন রয়েছে। তবুও দুচোখে রয়েছে স্বপ্ন। কিভাবে তা পূরণ হবে? জানা নেই। তবে আশা ও প্রত্যাশা রয়েই গিয়েছে মন্ডল পরিবারের।