রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সবুজের ঝড়ে ধরাশায়ী বিরোধী, ভোট দান ও গণনায় দুর্নীতির অভিযোগ বিরোধীদের

News Sundarban.com :
জুলাই ১২, ২০২৩
news-image

সবুজের ঝড়ে ধরাশায়ী উত্তর ২৪ পরগনার বিরোধীরা। তবে এই জয়ের পেছনে ছাপ্পা, ভোট লুঠ, গণনায় দুর্নীতির আছে বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও রাজ্যের শাসক দলের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জেলাবাসী আস্থা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। ফলে জেলা পরিষদ আবারও বিরোধী শূন্য হল। জেলার সব কটি পঞ্চায়েত সমিতিই ঘাসফুলের দখনে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার ৯৪.৯৭ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। ফলে এক কথায় বলা যায় সবুজ আবিরে ঢেকেছে গোটা ২৪ পরগনা।

 

বিরোধীদের পাল্টা দাবি মনোনয়ন পর্ব থেকে গণনা পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। মুখে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের কথা বললেও আসলে ভোটের নামে প্রহসন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। গণনার দিন বিরোধী প্রার্থী, তাদের এজেন্টদের মারধর, হুমকি দিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেদার দুর্নীতি হয়েছে। বিরোধীদের ব্যালট চুরি, ব্যালট খেয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাঝেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী জেলায় ১৯৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত মধ্যে ১৮৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতই তৃণমূল জয় পেয়েছে। ৪টি পেয়েছে বিজেপি ও ৬টি তৃশঙ্কু হয়ে আছে। অন্যদিকে জেলার ২২টি পঞ্চায়েত সমিতি সবকটিই তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে।

 

জেলা পরিষদের ৬৬টি আসনের প্রতিটিতেই তৃণমূল প্রার্থীর ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই ফলাফল আখেরে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতকেই শক্ত করেছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। বিরোধীরা যতই কুৎসা আর অপপ্রচার চালাক না কেন জেলার মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছে এই ফলাফল সেটাই প্রমাণ করল বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।