রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে নোয়াপাড়া উপনির্বাচন
আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে নোয়াপাড়া উপনির্বাচন৷ নামানো হয়েছে পাঁচ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ইভিএম মেশিন এবং ভি পি প্যাট বিতরণের কাজ৷ কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ গাড়ুলিয়া এবং উত্তর বারাকপুরের বেশ কিছু স্পর্শকাতর জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ৷ এছাড়াও নামানো হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার পুলিশ কর্মী৷ যেকোনওরকম গণ্ডগোল রুখতে রয়েছে ক্যুইক রেসপন্স টিম৷ রবিবার সকাল থেকেই বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে ব্যস্ততা নজরে এসেছে৷ নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে রয়েছে মোট ২৭৩টি বুথ৷ এর মধ্যে ২৭১ টি সাধারন বুথ এবং দুটি অক্সিলারী বুথ রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ভোটকর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন বুথে বুথে৷ মোট ভোটারের সংথ্যা ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫২২ জন । এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৬৩ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯৫৫ জন৷ মোট বুথের মধ্যে ৭০শতাংশ বুথই অত্যন্ত স্পর্শকাতর৷ এছাড়া বাকি ভোট ভোট কেন্দ্রগুলিতে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ও মাইক্রো অবজারভার বসানো হবে।
নোয়াপাড়া উপনির্বাচনের ভোট গ্রহনের সময় সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্ভুক্ত নোয়াপাড়া, বারাকপুর, জগদ্দল ও টিটাগড় থানার স্বশস্ত্র পুলিশ ভোট কেন্দ্র গুলিতে মোতায়েন থাকবে। হুগলি জেলা থেকে যাতে কোনও দুষ্কৃতি গঙ্গা পেরিয়ে নোয়াপাড়া অঞ্চলে প্রবেশ করতে না পারে, সেই জন্য নোয়াপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত চারটি ফেরিঘাটে কড়া পুলিশি প্রহরা থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এই উপনির্বাচনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়৷ সেই কারণে আগেভাগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল তিনটি বিরোধী দল৷ তাই সকলে নিরপেক্ষভাবে যাতে ভোট দিতে পারে৷ পাশাপাশি নির্বিঘ্নভাবে যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়টিই এখন প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।