শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তৃণমূল নেতাকে খুন করার চক্রান্ত,পুলিশের জালে ৭,ফেরার ১,উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ তাজা বোমা

News Sundarban.com :
জুন ২৮, ২০২৩
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, গোসাবা – অঞ্চল সভাপতি কে খুন করার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছিল দুষ্কৃতিরা।অভিযোগ তাঁকে না পেয়ে তাঁর ছায়াসঙ্গী আলাউদ্দিন মোল্লা কে গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রাণে বাঁচেন তৃণমূল নেতা আলাউদ্দিন।ঘটনার খবর জানতে পেরে স্থানীয় গ্রামবাসীর বেরিয়ে আসেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ।অভিযুক্ত ৭ জন দুষ্কৃতি কে ধরে ফেলে। একজন পালিয়ে যায়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে সুত্রের খবর।এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে গোসাবা থানার পাঠানখালি পঞ্চায়েতের বটতলি এলাকায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে পাঠানখালি তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি তথা ব্লক নেতা ঝড়ো ওরফে সুবিদ আলি ঢালী।অভিযোগ তাঁকে চক্রান্ত করে খুন করার পরিকল্পনা করে দুষ্কৃতিরা।বাধ সাধে সুবিদ আলি ঢালীর ছায়াসঙ্গী তথা ৪৪ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি আলাউদ্দিন মোল্লা।তাঁর ছায়া সঙ্গীকে হঠাতে না পারলে সুবিদ কে হঠানো সম্ভব নয়। এমত অবস্থায় ইসলাম মোল্লা,ইব্রাহিম মোল্লা ,আব্দুল আলীম মোল্লা,ইয়াকুব মোল্লা,সাহাজান মোল্লা, সাইফুল মোল্লা ,শরিফুল মোল্লা,সাইফুল মোল্লা’রা মঙ্গলবার দুপুরে বটতলি এলাকায় জড়ো হয়।

অভিযোগ আলাউদ্দিনের ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা।ঘরের মেঝেতে শুয়ে পড়ে কোন রকমে প্রাণে বাঁচেন আলাউদ্দিন।ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন বেরিয়ে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে গোসাবা থানার পুলিশ।গ্রামবাসীরা দুষ্কৃতিদের ধরে পুলিশে হাতে তুলে দেয়। যদিও মূল অভিযুক্ত ইসলাম মোল্লা পলাতক। ঘটনার বিষয়ে গোসাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুবিদ আলি ওরফে ঝড়ো ঢালীর ছায়াসঙ্গী ৪৪ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি আলাউদ্দিন মোল্লা।

তিনি জানিয়েছে, ‘পাঠানখালি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কে শেষ করার জন্য আমাকে ও সুবিদ বাবুকে খুন করার চক্রান্ত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরেই।দুষ্কৃতিরা কখনও বিজেপি কখনও আইএসএফ কখনওবা বামফ্রন্টের ছত্রছায়ায় থেকে দুষ্কৃতি মূলক কাজ করতো।সুবিদ বাবু কে মারার জন্য ছক কষে।তার আগে আমাকে খুন করার পরিকল্পনা করে। কারণ আমাকে খুন করলে অঞ্চল সভাপতিকে খুন করতে সুবিধা হবে। সেই উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার দুপুরে গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।ঘটনার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি।’

গোসাবার জেলাপরিষদ নেতা অনিমেশ মন্ডল জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল কে উৎখাত করার জন্য আরএসপি,বিজেপি,আইএসএফ একত্রে সন্ত্রাস চালিয়ে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে। এটা জঘন্য। আমরা পুলিশ প্রশাসন কে বলেছি এলাকায় যাতে শান্তি বজায় থাকে সে জন্য দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করে শাস্তি আবেদন জানিয়েছি।’

ঘটনার বিষয়ে আরএসপি’র রাজ্য যুব সম্পাদক আদিত্য জোতদার জানিয়েছেন, ‘ আমাদের কর্মী সাইফুল মোল্লা কে প্রথমে মেরে তার হাতে পিস্তল ধরিয়ে দেয় তৃণমূলের লোকজন। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযোগ পুলিশ চাপ দিয়ে সাইফুলকে দিয়ে বাকি আরএসপি কর্মীদের নাম বলিয়ে নিয়ে গ্রেপ্তার করে।এটা ঘৃণ্য চক্রান্ত করছে শাসকদল।’

ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারীক দিবাকর দাস জানিয়েছেন, ‘পাঠানখালির বটতলি গুলি চলেছে। গুলি চালাতে গিয়ে সাইফুল মোল্লা নামে একজন জখম হয়েছে। তাকে প্রথমে গোসাবা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।ঘটনায় মোট ৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।ইসলাম মোল্লা নামে একজন পলাতক রয়েছে। তার খোঁজে এলাকায় চিরুনী তল্লাশি অভিযান চলছে। এছাড়া ধৃতদের জিঞ্জাসাবাদ করে ৩ টি বন্দুক,৩৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৩০ তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হয়েছে।’

অন্যদিকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোসাবা থানার পুলিশ।এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা।