সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক জানতে পেরেই প্রতিবাদে সরব, স্ত্রী মেয়ে শ্যালকদেরকে মারধর করার অভিযোগ

News Sundarban.com :
জুন ২০, ২০২৩
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং – স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ সম্পর্কে জড়িত। সেই ঘটনা জানতে পেরেই প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্ত্রী। শুধু প্রতিবাদ নয়,স্বামী যাতে অবৈধ সম্পর্ক ত্যাগ করে তারজন্য কাউকে না জানিয়ে ভালো পথে আনার চেষ্টা করেন।তবে শেষ পর্যন্ত অত্যাচারের শিকার হন স্ত্রী।এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত দক্ষিণ তালদির নাথ পাড়ায়।নাথপাড়ার বাসিন্দা শ্যামল নস্কর।

গত প্রায় ২২ বছর আগে ক্যানিংয়ের দিঘীরপাড় পঞ্চায়েতের মাঝেরপাড়া মালিরধার গ্রামের শ্যামলী কে বিয়ে করেন। দম্পতির দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। তারাও বিবাহিত।পেশায় ঠিকাদার শ্যামল নস্কর কাজের ক্ষেত্রে এক গৃহবধুর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই কথা পরিবারের লোকজন জেনেও যায়।সাবধান করে সৎপথে আনার চেষ্টা করেন।সমস্ত কিছুই বিফলে যায়।চরম অশান্তি শুরু হয় নস্কর দম্পতির।অভিযোগ শ্যামল নস্কর প্রতিদিনই তার স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো।পাঁচ কান যাতে না হয় তার জন্য মুখ বুজে সহ্য করতেন শ্যামলী দেবী।

রবিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়িতে ফিরেই আচমকা স্ত্রী কে মারধর শুরু করে শ্যামল। সেই সময় মেয়ে জামাই ও ভাইদের কে ফোন করে ঘটনার কথা জানায়।হাজীর হয় দুই শ্যালক ও মেয়ে জামাই।অভিযোগ শ্যামলি দেবী কে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি মেয়ে মৌসুমী,দুই শ্যালক মানিক ও আশুতোষ হালদারদের কে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।স্থানীয়রা আক্রান্তদের কে রাতেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।শ্যামলি দেবী,মেয়ে মৌসুমী ও শ্যামলী দেবীর ভাই মানিক হালদারের অবস্থা আশাঙ্কা জনক। ঘটনার বিষয়ে আক্রান্তরা ক্যানিং থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।