পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী
বেশ্কিছু মাস পর আবার পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী ।হতে চলেছে উত্তরের ‘ছাত্রযুব সম্মেলন’।তাই চড়ছে পারদ। সব মহলে টানটান উত্তেজনা।আগামীকাল ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে’ প্রধান বক্তা তৃণমূল সুপ্রীমো মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর সাথে অবশ্যই তরুণ তুর্কি বাংলার যুবরাজ শ্রী অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী এবং অন্যান্য সম্মানীয় বিধায়ক ও অতিথিরা। পরপর কয়েকটি লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে বিরোধীদের পর্যুদস্ত করে এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই বিরোধীদেরই একসারিতে ফেলে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দলের ছাত্র যুব সমাবেশে ভাষণ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি একযোগে কংগ্রেস, বাম ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন। বামফ্রন্টকে নিশানা করে বলেন, একটা কর্পোরেশনের দায়িত্বে রয়েছে সিপিএম। কিন্তু কোনও কাজ করে না, শুধু গণ্ডগোলের রাজনীতি করে। কংগ্রেসকে তাঁর কটাক্ষ, ‘না ঘর কা না ঘাটকা’। তাঁর দাবি, সিপিএমের সঙ্গে যোগসাজস করে বাংলার রাজনীতির বদনাম করেছে কংগ্রেস। শিলিগুড়ির সমাবেশে মমতার প্রধান নিশানা ছিল বিজেপি।কখনও হাতিয়ার করেছেন সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ। বলেন, ‘অসমে বসে কোচবিহারে কীভাবে দাঙ্গা লাগানো যায় ? উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কীভাবে দাঙ্গা লাগানো যায়,দাঙ্গা লাগানো, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে মদত দেয় বিজেপি। বিভিন্ন ইস্যুতে এদিন মমতা সুর চড়ান কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও। বলেছেন, ‘কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি বঞ্চনা করছে বাংলাকে। বাংলাকে বঞ্চনা করে তৃণমূলকে মাথা নত করা যাবে না। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে স্বচ্ছ তৃণমূল। তবুও তৃণমূলের মাথা নত করানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্র। তিনি যোগ করেন, এই জন্যই সরব অন্ধ্রপ্রদেশ। অন্ধ্রপ্রদেশকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র, অন্ধ্রপ্রদেশের পাশে আছি। মমতা জানিয়ে দেন, তিনি কখনও জীবনে মাথা নত করবেন না। কখনও জীবনে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করবেন না।উন্নয়নের প্রসঙ্গেও তিনি বলেছেন, , ‘কোনও চা বাগান খোলেনি বিজেপি। তৃণমূল উদ্যোগ নিয়ে দুটি চা বাগান খুলে দিয়েছে। মমতার দাবি, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মিথ্যা কথা প্রচার করে বিজেপি।তৃণমূল যেমন দক্ষিণবঙ্গকে ভালোবাসে, তেমন উত্তরবঙ্গকেও ভালোবাসে। এখন উত্তরবঙ্গের প্রচুর উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাহাড় থেকে অরণ্য, সব জায়গায় হবে উন্নয়ন। তৃণমূল আসলে যৌথ নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস সবাইকে নিয়ে চলে।তাঁর দাবি, কৃষকদের স্বার্থে কাজ করছে তৃণমূল। চাষিরা কম পয়সায় জিনিস বিক্রি করতে বাধ্য হতো। নতুন জমানায় তা অতীত। বলেন, কৃষকদের খাজনা মকুব করে দিয়েছি। কৃষকদের জমির বীমা করিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এও বলেন, কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। মমতা জানিয়ে দেন, ‘জনবিরোধী কোনও কাজ করবে না তৃণমূল।