প্রত্যন্ত সুন্দরবনে নাবালিকা বিয়ে বন্ধে অগ্রণী ভুমিকা চাইল্ড লাইনের
সুভাষ চন্দ্র দাশ
ওরা সকলেই দিনরাত পরিশ্রম করেই অন্যান্য পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতেই ব্যস্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কোন চাইল্ড ছিল না। কিন্তু ২০০০ সালে জেলার পাথরপ্রতিমা থানার “দিগম্বরপুর অঙ্গীকার” নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গড়ে ওঠে শিশুদের সুরক্ষার জন্য। অতঃপর জনাকয়েক যুবক-যুবতীর উদ্যোগে এবং পাথরপ্রতিমার “দিগম্বরপুর অঙ্গীকার” এর সহযোগিতায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিশু সুরক্ষা জন্য গড়ে ওঠে চাইল্ড লাইন।ক্যানিং মহকুমা চাইল্ড লাইন গড়ে ওঠার পর থেকে প্রত্যন্ত সুন্দরবন সহ জেলার ক্যানিং,জীবনতলা,বাসন্তী এবং গোসাবা ব্লক এলাকায় শিশুদের ঊপর অত্যাচার,নির্যাতন,নাবালক-নাবা
বিশিষ্ট শিক্ষক যাদব চন্দ্র বৈদ্য বলেন “প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চল সহ ক্যানিং মহকুমার অন্যান্য প্রান্তে সাধারণ মানুষের আর্থিক দৈনতা রয়েছে। অার এই আর্থিক দৈনতার সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু অসাধু লোকজন পিছিয়ে পড়া পরিবারের লোকজনদের কে বুঝিয়ে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে নাবালক-নাবালিকাদের নিয়ে গিয়ে দিল্লী,চেন্নাই,গুজরাট সহ ভিনরাজ্যে বিক্রি করে দেয়। এইসব নাবালক-নাবালিকারা জীবনের মুলস্রোত থেকে হারিয়ে গভীর অন্ধকারাচ্ছন্নতে পাড়ি দেয়। ক্যানিং চাইল্ড লাইন যেভাবে নাবালক-নাবালিকা বিবাহ বন্ধ করে চলেছে তাতে করে সমাজের মঙ্গল এবং সেই সব আর্থিক অস্বচ্ছতা পরিবার গুলির মঙ্গল। এই কাজে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বা কোন সংস্থা যদি এগিয়ে আসে তাহলে আগামী দিনে উন্নততর সমাজ গড়ে উঠবে।”
বিশিষ্ট শিক্ষক তথা সমাজসেবী অমল নায়েক বলেন “আগে কোন চাইল্ড লাইন ছিল না। ফলে অনেক সময় ইচ্ছা থাকলে ও কিছু করা সম্ভব ছিল না। বর্তমানে ক্যানিং এ চাইল্ড লাইন হয়ে সুন্দরবনের মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং শিশুদের ও সুরক্ষার ব্যাপারে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। ”