ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় বাস মালিকদের স্মারকলিপি রাজ্যকে
নিউজ সুন্দরবন ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারীর পরে দুদিন কেটে গেলেও বাস সমস্যার সমাধানের কোন লক্ষ্মণ দেখা গেলনা। কলকাতা থেকে জেলা বৃহস্পতিবারও দিনভর পর্যাপ্ত গণ পরিবহণের অভাবে চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।এদিন দুপুরে রাজ্য সরকারের কাছে ফের ভাড়া বৃদ্ধি সহ একদফা দাবি দাওয়া পেশ করলেন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট-সহ বাস মালিকদের একাধিক সংগঠন।অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী ১লা জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়ার পর বাস হকুম দখল করে চালানোর হুশিয়ারী দিলেও এসংক্রান্ত আর কোনও প্রশাসনিক উদ্যোগ এদিনও দেখা যায়নি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর এব্যপারে ধীরে চলো নীতি নিয়ে চলছে নবান্ন। ফলে বলাই যায় বাস নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তা সুরাহার কোনও দিশা দেখা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরেই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পরিবহণ দফতরে গিয়ে একাধিক দাবি-সহ স্মারকলিপি জমা দিয়ে এসেছেন বাস মালিকেরা। সেখানে ৬-৭ দফা দাবি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম পেট্রোপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করতেই হবে। এছাড়া, বাসের জ্বালানি থেকে রাজ্যের সেস মকুব, ইএমআই মকুব ও বিমার টাকা মকুবের দাবি জানানো হয়েছে।এছাড়াও, পুলিশের দেওয়া কেসও বন্ধ করতে হবে বলেই দাবি করেছে বাস মালিকেরা। এই প্রসঙ্গে বাস মালিকদের সংগঠনের পক্ষে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা কথা দিয়েছিলাম, সেই মোতাবেক তিনটের মধ্যেই যা বলার রাজ্যকে জানিয়েছি। এবার রাজ্য সিদ্ধান্ত নেবে কতটা কী করা যায়। তবে ভাড়া বৃদ্ধি আমাদের প্রাথমিক দাবি। তা না মানলে বাস নামানো সম্ভব নয়।’ তবে তিনি একইসঙ্গে দাবি করেছেন, এবার সমস্যার সমাধান হবে।
যদিও এর আগে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার স্পষ্টই জানিয়েছেন কোনওভাবেই ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত রাজ্য নিতে দেবে না। কিন্তু বাস মালিকেরা এখনও সেই দাবি অনড়। ফলে বলাই যায় দীর্ঘ তিন সপ্তাহ ধরে বাস সমস্যা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে। কবে এর সমাধান হবে তা কেউই বলতে পারছেন না। ফলে মধ্যে দিয়ে ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
যদিও এদিন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, রাস্তায় গত কয়েকদিনের চেয়ে বেশি বাস নেমেছে। ফলে সমস্যা অনেকটাই মিটেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে বাস হয়তো বেশি নেমেছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে সমস্যায় পড়েছেন আমজনতাই।