সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাঘের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা কুলতলি গ্রাম

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলতলি: সুন্দরবনের লবনাক্ত আবহাওয়ার হিংস্র রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার লোকালয়ে। সেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আতঙ্কে কাঁপছে সুন্দরবনের কুলতলি। শনিবার মৈপীঠ উপকূল থানার অন্তর্গত গুড়গুড়িয়ার ভুবনেশ্বরীর গৌড়ের চক এলাকার নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা। মুহূর্তে সেই খবর এলাকায় চাউর হয়ে যায়। এরপরেই গোটা গ্রাম সহ এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে হাজীর হন মৈপীঠ কোষ্টাল থানার ওসি স্বপন বিশ্বাস। যাতে করে এলাকার লোকজন বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে না যায় এবং সতর্কতা অবলম্বন করেন তার জন্য মাইকিং করে প্রচার করেন। অন্যদিকে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে তাঁরা বন দফতরকে খবর দেন। পরে স্থানীয় নলগড়া বিট অফিস ও আশপাশের রেঞ্জ অফিস থেকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বাঘের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।

এদিকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা লাঠি হাতে গ্রাম পাহারায় নেমে পড়েছেন। বনবিভাগের তরফে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় নাইলন জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীমন্ত মণ্ডল বলেন, ‘ শীতের মরশুমে সাধারণত জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ে। ভুবনেশ্বরী নদীচরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাওয়া আমরা বাঘ খুঁজতে জঙ্গলে যাচ্ছি। বন কর্মীরাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জাল পাতার পাশাপাশি খাঁচাও পাতা হবে।’

অন্যদিকে সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা বাঘের খোঁজ পেতে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারী চলছে বনদফতরের উদ্যোগে।

লোকালয়ে বাঘ আতঙ্ক নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনদফতরে মুখ্য আধিকারিক মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘লোকালয়ে বাঘ ঢোকার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে বোঝার চেষ্টা করছেন, যে বাঘটি লোকালয়ের রয়েছে কি না। জাল দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। প্রয়োজনে ওই জঙ্গলে খাঁচা পাতা হবে।’

উল্লেখ্য সাধারণত শীতের মরশুমে খাবারের সন্ধানেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। নদী-খালে এই সময় জল কম থাকায় অনায়াসে সাঁতার কেটে গ্রামে ঢোকে তারা।আবার অনেক সময় রাতের অন্ধকারে লোকালয় গ্রামের গোয়াল ঘরে ঢুকে গরু,ছাগল সাবাড় করে নিঃশব্দে জঙ্গলে ফিরে যায়।