শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মহালয়ার পূণ্যলগ্নে ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি, পুস্তক ও এলাকার মায়েদের শাড়ি প্রদান

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১৪, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, নামখানা: মহালয়ার পূণ্যলগ্নে ও দেবীপক্ষের শুভ সূচনায় দক্ষিণ চন্দনপিড়ী বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সদস্য সঙ্গীত শিল্পী শান্তনু দাস উদ্বোধনী সংগীতের মধ্য দিয়ে আগমনী বার্তা দেন ও অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা বিবেকানন্দ যুব কল্যাণ কেন্দ্রের মাননীয় প্রিয়ব্রত গুহ বিশ্বাস, নামখানা ব্লকের বিশিষ্ট সমাজসেবী বিদ্যুৎ কুমার দিন্দা , প্রাক্তন শিক্ষক ও চন্দনপিড়ী রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বেরা, সংগঠনের প্রাণপুরুষ ডঃ শান্তনু বেরা , সভাপতি অনুপ মাইতি। সহ সম্পাদক  বিদ্যুৎ তিয়াড়ি, শিক্ষক সদস্য পার্থসারথি মন্ডল, অভিজিৎ বর্মন, অতনু বেরা,  শান্তনু দাস , দীপক মাইতি ,কৃশানু বেরা, অনুপ মাইতি ,নবকুমার গায়েন প্রমূখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এলাকার দুস্থ মায়েরা ও সংগঠনের দ্বারা মাসিক বৃত্তি প্রাপক এলাকার দুস্থ ছাত্র ছাত্রীরা। চন্দন ও ব্যাচ পরিয়ে অতিথিবরণ করেন উপস্থিত ছাত্রীরা । এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রিয়ব্রত বাবুর হাতে স্মারক তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি অনুপ মাইতি। শিক্ষক পার্থসারথি মন্ডল সংগঠন সম্পর্কে বলেন এই সংগঠনের ভিত্তি হল মানুষ আর আশীর্বাদ স্বরূপ রয়েছেন এই প্রিয়ব্রত বাবু ,বিদ্যুৎ বাবু, রবিন বাবুদের মত মানুষেরা।

আজকের অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রিয়ব্রত গুহ বিশ্বাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত মায়েদের আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রবীনবাবু সংগঠনের কাজকর্মে গর্ব অনুভব করেন ও আগামী দিনে আরো এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখান। সমাজসেবী বিদ্যুৎ বাবু বলেন, এই দক্ষিণ চন্দনপিড়ী এক রত্নগর্ভা গ্রাম, যেখানে অহল্যা বাতাসীর জন্ম। আবার এই গ্রামের একটি সংগঠন দক্ষিণ চন্দনপিড়ী স্বামী বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি যার হাত ধরে তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু বেরা ও তার সদস্যরা  অক্লান্ত পরিশ্রমে ও মানুষের জন্য কিছু করার চিন্তা ভাবনায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা ভীষণ গর্বের ।তাই সবার উনাদের পথ অনুসরণ করা  ও পাশে থাকা উচিত। আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রিয়ব্রত বাবু উপস্থিত মায়েদের একটি করে শাড়ি উপহার দেন। বিদ্যুৎ বাবু প্রত্যেককে মিষ্টিমুখ করার জন্য অর্থ তুলে দেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য স্বামীহারা আশিস প্রধানের স্ত্রী ও তার কন্যা শিশুকে নিয়ে । ব্যথাতুর চিত্তে উনাকে শাড়ি ও ৫০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়।

এবং মেয়ের হাতে পঠন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সংগঠন প্রতিশ্রুতি দেয় আগামী দিনে মেয়ের যাতে পড়াশোনার কোন অসুবিধা না হয় তা সংগঠন দেখবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে যে ৩৫ জন ছাত্রছাত্রীকে মাসিক বৃত্তি তুলে দেওয়া হয় তার মধ্যে আজ কয়েকজনের হাতে বৃত্তি তুলে দেয়া হয়। আজ মইনুল হক স্কলারশিপ তুলে দেয়া হয় মৌমিতা পয়ড়ার পক্ষে তার মায়ের হাতে। মনিরা বেগম স্কলারশিপ তুলে দেয়া হয় শেখ মুর্শেদ এর হাতে। এছাড়াও সুজাতা সামন্ত, রচনা মন্ডল ও সুনন্দা জানার হাতে বৃত্তি তুলে দেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের অন্যতম সদস্য অতনু বেরা । সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সম্পাদক ডঃ শান্তনু বেরা, উপস্থিত সবাইকে যথাযোগ্য সম্মান জানিয়ে এবং আগামী দিনে সবাই যাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই লড়াই লড়তে পারি সেই কামনা করে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটান।