শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাসন্তীতে অনুষ্ঠিত হল স্বয়ংসিদ্ধা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ,বাসন্তী – “স্বয়ংসিদ্ধা” ‘একা থেকে এক হও’  লড়াইয়ে সামিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা।স্বয়ংসিদ্ধা” কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল স্বয়ংসম্পূর্ণ।স্বয়ংসিদ্ধা হল ছাত্র-ছাত্রীদের স্বয়ংপূর্ণ হয়ে ওঠার একটি মঞ্চ।ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক নেতৃত্বে আসার ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের কে স্বয়ংপূর্ণ করে তোলা,যাতে করে তারা সমাজের সবরকম প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে । মূল্যবান জীবনের পথে এগিয়ে চলার জন্য সতর্কতা,সজাগ ও সচেতনতা করার একমাত্র লক্ষ্য। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মনে এমন ভাবনার বীজ বুনে দেওয়ার জন্য স্বয়ংসিদ্ধা’র উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার ও ইউনিসেফ।মুলতঃ স্বয়ংসিদ্ধা’র প্রাথমিক উদ্দেশ্য শিশুশ্রম,গার্হস্থ্য হিংসা,মানব পাচার এবং বাল্যবিবাহ রোধ করে ছাত্রছাত্রীদের নেতৃত্বে একটি সামাজিক আন্দলন গড়ে তোলা। সুরক্ষিত সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে ১২-২১ বছর বয়সী স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা স্বয়ংসিদ্ধা দল গড়ে তুলেছে।তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও ব্লক এবং গ্রাম্যস্তরের শিশু সুরক্ষা সমিতি।উল্লেখ্য রাজ্যে পাচার,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ,পাচারের পর ফিরে আসা মেয়েদের পূনর্বাসন ও পুলিশ কে সচেতনতা করার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগণা পুলিশ প্রশাসন ২০১৬ সালে উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রশংসাও করেছিলেন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

সেই উদ্যোগকে প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় আরো বেশীকরে প্রসারিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বৃহষ্পতিবার সকালে ঝড়খালি কোষ্টাল থানা ও বারুইপুর পুলিশ জেলার উদ্যোগে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বাসন্তী ব্লকের নফরগঞ্জ বৈদ্যনাথ বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠিত হল স্বয়ংসিদ্ধা সম্মেলন। বিশিষ্টদের মধ্যে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল,ঝড়খালী কোষ্টাল থানার আধিকারীক প্রদীপ রায় সহ অন্যান্যবিশিষ্টরা।

এদিন সম্মেলনে পাচর,বাল্যবিবাহ রোধ,শিশুকে পর্ণগ্রাফি দেখানো,শিশুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার অঙ্গ স্পর্শ করা,যৌন ইচ্ছায় শিশুকে অন্যের শরীর স্পর্শ করতে বাধ্য করা,শিশুকে তার শরীর নগ্ন করতে বাধ্য করা,প্রাপ্তবয়ষ্ক কেউ যদি তার শরীর নগ্ন করে শিশুকে দেখায়—সমাজে এই সমস্ত কুকর্মগুলির উপর সচেতনতা করা,আলোচনা কুইজ প্রতিযোগিতা,কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি যাতে করে শিশু জীবন নিরাপদ হয় তারজন্য পকসো(POCSO)আইনের নিয়ম কানুন ও সম্মেলনে আলোচিত হয়।