বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
news-image

এবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নয়া মোড় নিল। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য তথা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য।

বৃহস্পতিবার দুপুরেই রাজভবনে ই-মেল মারফত আইনি নোটিস পৌঁছে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। ওই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।

অভিযোগ, আচার্য তাঁদের সম্মানহানি করেছেন। আচার্যের বক্তব্যের কারণে সামাজিক এবং মানসিক হেনস্থা হয়েছে তাঁদের। ক্ষমা না চাইলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রাক্তন উপাচার্যেরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রত্যেকের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও দাবি করা হবে।

গত জুলাই মাসে রাজ্যের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা ছিল। কিন্তু আচার্য বোস উপাচার্য হিসাবে মাত্র তিন জনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিলেন। বাকি ২৪ জন উপাচার্য পদ হারান। সেই সময় রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে সাপ্তাহিক যে রিপোর্ট চেয়েছিলেন, এই ২৪ জনের কাছ থেকে তা পাননি। সেই কারণে তাঁদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল না। যদিও, ২০১৯ সালের নিয়ম অনুযায়ী, আচার্যের সঙ্গে উপাচার্যদের সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব নয়। বিকাশ ভবন মারফত রাজভবনের সঙ্গে উপাচার্যদের যোগাযোগ করাই নিয়ম। সেই মতো, এই উপাচার্যেরা বিকাশ ভবনে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে তা রাজভবনে পৌঁছয়।

রাজভবনে যে ১২ জনের তরফে আলাদা আলাদা আইনি নোটিস পৌঁছেছে, আশুতোষ ঘোষ ছাড়াও তাঁদের মধ্যে আছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মানস সান্যাল, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য স্বাগতা সেন, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়, গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য শান্তি ছেত্রী, সিধো কান্‌হো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দীপক কুমার কর এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র।

 

নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকলের সামনে রাজ্যপালকে তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন প্রাক্তন উপাচার্যেরা। সেই সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিও করা হবে। ওমপ্রকাশ মিশ্র জানান, তাঁদের এই আইনি চিঠি রাজ্যপালের উদ্দেশে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের উদ্দেশে।