রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কপিলমুনির মন্দিরকে বাঁচাতে ২৯ শে অক্টোবর থেকে শুরু হবে কাজ

News Sundarban.com :
আগস্ট ২৬, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি,গঙ্গাসাগর : ক্রমশই ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে আসছে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকত। এই মুহূর্তে গঙ্গার ভাঙন থেকে কপিলমুনির মন্দির মাত্র ৬০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে। এখন যেকোন প্রকারে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির রক্ষা করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। আর সেই কারনেই গঙ্গাসাগর মেলার অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে করলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্ৰ হাজরা, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা সহ সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী। কি ভাবে আগামীদিনে মন্দিরকে রক্ষা করা যাবে, কিভাবে সুষ্ঠুভাবে ২০২৪ সালে সাগর মেলা পরিচালনা করা হবে, এইসব বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এবিষয়ে সেচ মন্ত্ৰী পাৰ্থ ভৌমিক বলেন, গঙ্গা ভাঙন রোধের ক্ষেত্রে চেন্নাই আই.আই.টি. কে দিয়ে সার্ভে করা হয়েছে।

সেই বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। তবে গঙ্গাসাগর মেলার সময় পুণ্যার্থীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয়, সেই বিষয়ে রাজ্য সরকার সতর্ক থাকবে। এছাড়াও কপিলমুনির মন্দিরকে ভাঙ্গন থেকে বাঁচানো হবে। যদিও আগামী দিনে গঙ্গাসাগরকে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে রাজ্য সরকার। এর ক্ষেত্রে পাকাপাকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মাস্টার প্ল্যান তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার আগেই বাস্তবায়িত হবে এই মাস্টার প্ল্যান। কপিলমুনি মন্দিরের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এবিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, গঙ্গা ভাঙনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ২৯শে অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হবে। তবে এদিন গঙ্গাসাগরে এসে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন সেচ মন্ত্রী।