সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বুধাখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান, এবারের সিপিআই এম প্রার্থী

News Sundarban.com :
জুলাই ১, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি,কাকদ্বীপ: রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ ই জুলাই রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ও প্রত্যাহারের সময়সীমা ও পেরিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএমের প্রার্থী যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার বুধা খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান সোনা দোলুই আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএমের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার ও সারছেন। মানুষের সাড়া মিলছে বলেও দাবি সিপিআইএমের প্রার্থীর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুধা খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের 222 নম্বর বুথ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সোনা দোলুই। তবে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুনরায় একই বুথ থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৩৪টি ভোটে জয়লাভ করেন তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে। এরপরে বুধা খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান হিসেবে মনোনীত হন। তিনি দায়িত্ব সামলাছিলেন। সিপিআইএম প্রার্থীর অভিযোগ ২০১৮ সাল থেকে বুধা খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের দায়িত্ব সামলাছিলেন।

২০২০ সালে আমফান ঝড় হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরনের টাকা ঘোষণা করেছিলেন। সেই টাকা বন্টনের জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তালিকা ও তৈরি করা হয়। সেই তালিকায় দেখা যায় ঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতার বাড়ির সদস্যদের নাম রয়েছে যারা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। তিনি আরো অভিযোগ করেন এই প্রতিবাদ করাতে তৃণমূল নেতৃত্ব পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেন তাঁকে। তৃণমূল নেতৃত্বরা জানায় তাঁকে তার দ্বারা রাজনীতি সম্ভব নয়।তিনি আরও অভিযোগ করেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়ন মূলক কোনো কাজ দেওয়া হয়নি তাঁকে। এরকমই মারাত্মক অভিযোগ করেছেন তিনি। সিপিআইএম প্রার্থী জানান এবারের ভোটে তিনি দাঁড়িয়েছেন মানুষের ইচ্ছাতেই। তিনি জয়ের বিষয়ে ১০০ ভাগ নিশ্চিত এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানান মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম কিন্তু কোনো কাজ করতে পারিনি।মানুষের জন্য অসম্পূর্ণ কাজ গুলি করতে বুধাখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২২ নং বুথ থেকে আই এস এফ ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সিপিআইএম এর প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ে বুধা খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বানেশ্বর দাস জানান উনি নৈতিকতাহীন। উনি এখনোা পর্যন্ত বুধা খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রয়েছে। উনি এখনো পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটা আলোচনায় আসেন এবং আলোচনার খাতাতে সই করেন। উনি চেয়েছিলেন কিছু কামিয়ে চলে যেতে কিন্তু তা পারেনি, তাই আবার অন্য দলে গিয়ে সেখান থেকে কিছু কামিয়ে নিতে চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেস আছে তৃণমূল কংগ্রেসেই তাই উনাকে নিয়ে কোনো মাথা ব্যথার কারণ নেই আমাদের। সময় বলে দেবে কে মানুষের হয়ে কাজ করেছে। উনি নিজের থেকে কোনো কিছু কাজ করতে চায়নি, কাজ দেওয়া হয়েছিল।আমরা বুধাখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ টি আসনই জয়লাভ করবো।যেই দলটা ৩৪ বছর ধরে কোনো উন্নয়ন করেনি উনি সেই দলে নাম লিখিয়েছে।এটা উনার ব্যাক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে বিজেপির কাকদ্বীপ মন্ডল ৪ এর সভাপতি শিবপ্রসাদ প্রামানিক বলেন পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গেলে এইরকম মহিলার দরকার আছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে খাওয়াখায়ি চলছিল তার প্রতিবাদ করছেন উনি। তাই তাকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা চাই উনি আবারও জিতে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াক। রাজনৈতিকভাবে উনার সঙ্গে প্রতিদন্ডী থাকলেও নৈতিকতার দিক থেকে আমরা ওনার পাশে রয়েছি।এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে সোনা দোলুই, আগামীদিনে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করবে।