শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

17 বছর নিখোঁজ সঞ্জয় যাদবকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল হাম রেডিও

News Sundarban.com :
জুলাই ১২, ২০২২
news-image

ঝোটন রয়, পাথরপ্রতিমা: দীর্ঘ প্রায় 17 বছর নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে আজ বাড়ি ফিরছেন সঞ্জয় যাদব ‌। পরিবার সূত্রে হামরেডিও জানতে পারেন যে বাড়ি থেকে ২০০৫ সালে হঠাৎই বেরিয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয় যাদব (৪৭)। তিনি বিহারের ভাগলপুর জেলার বাধ থানার কুমেটা গ্রামের বাসিন্দা। স্বামী স্ত্রী এবং দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়েই থাকতেন সঞ্জয় বাবু। ছোট্ট পরিবার সুখি পরিবার। দিনমজুরির কাজ করে কোনরকম সংসার চলত। ২০০৫ সালের কোনো একদিন বাড়ি থেকে তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন। সেদিন আর তাঁর বাড়ি ফেরা হয়নি। শুধু সেদিন নয়, নয় নয় করে ১৭ টা বছর তার বাড়ির মুখই দেখেননি। অনেক খোঁজা খুঁজি করেছিলেন তার পরিবার-পরিজনেরা। থানা পুলিশ এমনকি বিভিন্ন জায়গায় ছবি দিয়েও খোঁজ খবর করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। এক বছর নয়, বিগত কয়েক বছর না পাওয়া ও সঞ্জয়বাবুর বাড়িতে না ফেরায় অবশেষে তাঁর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের পরিজনেরা। একসময় তাঁদের কাছে এল এক সুখের দিন।

হামরেডিও সূত্রে জানা গেছে, পাথরপ্রতিমা থানার বনশ্যাম নগরের এক শিক্ষক দুস্ত এই ব্যক্তিকে দেখতে পান। শিক্ষক মহাশয় জানান, অনেকদিনয় ধরে আমি লক্ষ্য করছি। প্রথমে কথা বলতেই পারতেন না। তারপর আস্তে আস্তে করে কথা বলছে। মাস্টার মশাই বুঝতে পারছেন যে উনার বাড়ি, এমনকি উনি কোথায় থাকতেন হয়তো সেটাই বলতে চাইছেন। এমতো অবস্থায় তিনি হাম রেডিও এর সেক্রেটারি অম্বরিশ বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে বিশদ জানান। তারপর শুরু হয় সেই পরিবার হারা সঞ্জয় বাবুর বাড়ির খোঁজ-খবর। হাম রেডিও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই সঞ্জয় বাবুর বাড়ি। এমনকি উনার স্ত্রী ও মেয়েকে হরিয়ানা থেকে খুঁজে বার করেন হাম রেডিওর সদস্যরা। ভিডিও কল করে তার পরিবারের সঙ্গে কথাও বলানো হয় সঞ্জয় যাদব কে। পরস্পর পরস্পরকে চিনতেও পারেন। অবশেষে আজ মঙ্গলবার তার স্ত্রী ও আত্মীয়রা এসেছেন সঞ্জয় যাদব কে নিয়ে যাওয়ার জন্যই।

এই সুন্দর একটা মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ মন্ডল,

কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ ব্যানার্জি, পাথরপ্রতিমা থানার ওসি প্রসেনজিৎ জানা, উপস্থিত ছিলেন হামরেডিওর সদস্য দিবস মন্ডল। হাম রেডিওকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না সঞ্জয় যাদবের পরিবারের পরিজনেরা।