করোনার কোপ স্বাধীনতা দিবস পালনেও, সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান কেন্দ্র রাজ্যের

নিউজ সুন্দরবন ডেক্স: করোনার কামড় ছেদ ঘটাল দেশের বর্ণময় স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের ঐতিহ্যেও।মহামারীর আবেহে স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়ে সংশয় ছিলই।এবার কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়াৈ হল স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে কিন্তু তা হবে সংক্ষিপ্ত আকারে। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রথামতো লালকেল্লায় সশরীরে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এবারের অনুষ্ঠানে অনেকটা কাটছাঁট করা হয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের এবার আর অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সামরিক বাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে যে প্যারেড প্রদর্শন হবে ও তোপধ্বনি করা হবে, সে ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাস্ক সহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পরার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে পাঠানো নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সীমিত আকারেই উদযাপন করতে হবে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতরা যাতে করোনা জয়ী হন, সে দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শুধুমাত্র পুলিশ-আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্যারেড, বেলুন উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীতের আয়োজনের মাধ্যমেই অনুষ্ঠান সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। যারা সশরীরে হাজির হয়ে অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন না, তাদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার (ওয়েব কাস্ট) করার দিকে জোর দিতে হবে। ওই নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে ১৫ আগস্ট দর্শকহীন রেড রোডে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত থাকবেন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমন্ত্রিতদের তালিকা ছোট রাখা হচ্ছে। মূলত রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। পুলিশ সংক্ষিপ্ত কুচকাওয়াজ করবে। সব মিলিয়ে মিনিট ১৫–র অনুষ্ঠান হবে বলে ঠিক হয়েছে। স্কুল, কলেজ পড়ুয়ারা সেখানে প্রতিবারই অংশ নিত।

তবে এবার তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তৃণমূল সরকারের শাসন ক্ষমতার দায়িত্বে আসার পর রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করা শুরু করেছে। আগে তা হত মহাকরণের সামনে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, যত বেশি মানুষকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শামিল করা যাবে, তত ভাল। তাই রেড রোডে অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হয়। অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ট্যাবলো বেরোয়। তার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়। যাতে আরও বেশি মানুষ এর ব্যাপারে জানতে পারেন। তুলে ধরা হয় বাংলার লোকসংস্কৃতি। বার্তা দেওয়া হয় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের। সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ সেখানে যোগদান করেন। চিত্রতারকা থেকে শুরু করে ত্রীড়াবিদ, পড়ুয়া থেকে লোকশিল্পীরা অংশ নেন। তবে এবার তার কিছুই হচ্ছে না।ঘরে বসেই স্াধীনতা দিবস উদয়াপন করতে হবে রাজ্যের মানুষকে।