অসুস্থ বৃদ্ধ কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলেন মানবিক প্রধান
ক্যানিং —সোমবার সময় তখন সকাল ১১ টা। ঘটনাস্থল ক্যানিং বাজার। জনৈক এক বছর পঁচাত্তর বয়সের বৃদ্ধ বাজারের মধ্যে আচমকা অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন।হাজার হাজার সাধারণ পথযাত্রীরা এমন ঘটনা দেখে যে যার গন্তব্যে চলে যায়। অসহায় বৃদ্ধ তখন অসহায় ভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।বৃদ্ধ হাত মুখ নেড়ে ইশারা করে সাধারণ পথচলিত মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন নি।অসহায় বৃদ্ধ তখন প্রায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। আর এমন খবর লোক মুখে চাউর হতেই খবর পান মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস। সেই সময় উত্তম বাবু একটি জরুরী মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।আর এমন খবর শুনেই মিটিংয়ের মাঝ পথে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে সোজা হাজীর হন ক্যানিং বাজারে। ফুটপাথে পড়ে থাকা অসহায় বৃদ্ধের কাছে। সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং জরুরী ভিত্তিতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করেন।বর্তমানে বৃদ্ধ আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।যদি ও বৃদ্ধ কথা বলতে না পারায় তার ঠিকানা পরিচয় মেলেনি।তবে মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হাল ছাড়ার পাত্র নন। তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় বৃদ্ধর ছবি দিয়ে পোষ্ট করছেন। যাতে করে বৃদ্ধর ঠিকানা পরিচয় পাওয়া যায়।অবশেষে সোস্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে বৃদ্ধকে সোমবার গভীর রাতেই করতে উত্তম বাবুর সাথে যোগাযোগ করেন বৃদ্ধের পরিবারের লোকজন।জানা যায় স্থানীয় তাঁতকল পাড়া এলাকায় বাড়ী বৃদ্ধ সুধাংশু সরকারের। এদিন ক্যানিং বাজারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এবিষয়ে উত্তম বাবু বলেন “মানুষ মানুষের জন্যে। বৃদ্ধের পরিচয় ঠিকানা পেয়ে তাদের হাতে তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে।এবং এমন কাজ কর্তব্য বলে মনে করি।”
অন্যদিকে সুধাংশু সরকারের পরিবারের লোকজন প্রধান উত্তম দাসের প্রতি কৃতঞ্জতা জানিয়ে বলেন “উত্তম দাসের মতো জন দরদি ব্যাক্তিত্বের জন্য বৃদ্ধ সুধাংশু সরকার কে জীবিত অবস্থায় পেয়েছি। না হলে হয়তো——।”