আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা
সুপার সানডেতে মাঠে নামছে ইউরোপের বড় বড় সব ক্লাব। আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা। খেলবে ফ্রান্সের পিএসজি। ইতালি চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। এমনকি সুপার সানডেতে আর্জেন্টিনার সেরা দুই ক্লাব বোকা জুনির্য়ম ও রিভার প্লেট হবে মুখোমুখি। তবে সব ম্যাচ ছাড়িয়ে সম্ভবত সুপার সানডের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ম্যানচেস্টার ইউনাইডেট ও ম্যানচেস্টার সিটি।
আর সে আকর্ষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে দু’দলের দুই কোচের কারণে। হোসে মরিনহো ও পেপ গার্দিওলার লড়াইটা যে আরও পুরনো। ক’বছর আগে রিয়াল-বার্সা মহারণের দ্রোণাচার্য ছিলেন যে তারা। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায় মুখোমুখি হবে দু’দল।
পেট্রো ডলারের বদৌলতে গত দশ বছর ধরে ম্যানচেস্টার সিটি ইংল্যান্ডের বেশ প্রভাবশালী ক্লাব। এর আগে ম্যানচেস্টার শহরের এই দুই দলের লড়াইয়ে ইউনাইটেডের প্রাধান্য ছিল। গত ক’বছর সে আধিপত্যে ভাগ বসিয়েছে সিটি। ২০১৬ সালে গার্দিওলা সিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের দাপট বেড়েছে। একই বছর মরিনহোও এসেছেন ইউনাইটেডে। কিন্তু এখনও ম্যানইউর পুরনো দিন ফেরাতে পারেননি পর্তুগিজ এ ম্যানেজার। চলতি মৌসুমেও ইউনাইডেটের সূচনাটা ছিল বেশ হতাশার। এখন পর্যন্ত লিগে ১২ ম্যাচে ম্যানইউর চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে সিটি। তাই আজকের ম্যানচেস্টার ডার্বিতে সিটিই ফেভারিট। খেলাও সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে।
ক’দিন আগেও দলের বাজে ফলাফলের কারণে মরিনহোর চাকরি হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। তবে নিউক্যাসেলের বিপক্ষে দুই গোলের পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জেতায় বেঁচে যান মরিনহো। এরপর গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভেন্তাসকে তাদের মাটিতে ১-২ গোলে হারিয়ে আসার পর বেশ উজ্জীবিত ম্যানইউ। জুভদের বিপক্ষে দারুণ জয়ই এখন ম্যানইউর ডার্বির অনুপ্রেরণা। অবশ্য সিটিও আছে দুর্দান্ত ফর্মে। গত দুই ম্যাচে তারা ১২ গোল করেছে। হজম করেনি একটিও।
অন্যদিকে ম্যানইউ গত সাত ম্যাচে একটিতে হারলেও প্রতি ম্যাচেই গোল হজম করেছে। আগুয়েরো, জেসুস, স্টার্লিং, সিলভাকে নিয়ে সিটির আক্রমণ ভাগ প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তবে গত মৌসুমে শিরোপা জিতলেও ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেরেছে সিটি। এ বছর ৭ এপ্রিল নিজেদের মাঠে ২-৩ গোলে হেরেছে সিটি। প্রথম লেগে অবশ্য ম্যানইউর মাঠে জিতেছিল সিটি। ২০১৬ সালে ম্যানইউর জয়ের নায়ক মার্কাস রাশফোর্ড আবার গতকাল জয়সূচক গোল করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার কথায়, ডার্বিতে যেন নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আরও একটি বিষয় নিয়ে চাপে আছে ম্যানসিটি। ফিফার আর্থিক নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে সিটির শাস্তি দাবি করেছে ম্যানইউ ও লিভারপুল। ২০১৪ সালে আর্থিক নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে সম্প্রতি ৪৯ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা দিয়েছে সিটি।