সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শাসক-বিরোধী সবাই এক বাক্যে কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব

News Sundarban.com :
জুলাই ৩১, ২০১৮
news-image

বাঙালি খেদাও চলছে অসমে ৷ অনিশ্চয়তা আর আশঙ্কায় বহু মানুষ। এক লহমায় বাদ হয়ে গিয়েছে ৪০ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব। শাসক-বিরোধী সবাই এক বাক্যে কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব। বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে এদিন বিধানসভায় একেবারে আলাদি ছবি ফুটে ওঠে। যা কোনওদিনও দেখেনি রাজ্য, বিধানসভায় সেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস ও সিপিএম এককাট্টা হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগছে। রাজ্যের শাসক-বিরোধীদের আওয়াজ মিলে গিয়েছে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলে এড়াতে চাইলেও, বিজেপি এই ঘটনায় দায় এড়াতে পারে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাই একজোট হয়ে প্রতিবাদে শামিল হতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জির নামে অসমে বিজেপি বাঙালি খেদাও অভিযানের বিরুদ্ধে একযোগে গর্জে উঠল বাংলা। মঙ্গলবার বিধানসভায় শাসকের সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেস-তৃণমূলও প্রতিবাদে শামিল হয়। বিধানসভায় একযোগে প্রস্তাব পেশ করে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম। যৌথ প্রস্তাব আনেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান দাবি করেছিলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণে যে সমস্ত নথিপত্র চাওয়া হচ্ছে, তা স্বয়ং রাষ্ট্রপতিরও নেই। এখানে আমরা যাঁরা উপস্থিত রয়েছি, তাঁদেরই নেই। তাই বিজেপি আমাদেরও রিফিউজি বানানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে। কেন্দ্রের এটা পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত।মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়েই বিধানসভা বাম পরিষদীয় দলনেতা সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী ও বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান একযোগে আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তাঁদের কথার সার বস্তু ছিল, বিজেপি বাংলা ও বাঙালি বিরোধী। তাই তাদেরকে যোগ্য জবাব দিতে হবে। আমরা সবাই অসমের মানুষের পাশে আছি।