শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্বশুরবাড়ীতে  মার খেয়ে আত্মঘাতি স্বামী

News Sundarban.com :
মার্চ ১৪, ২০১৮
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ

স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কাছে মার খেয়ে অপমানিত হতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ দাস(১৮)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার মঠেরদিঘিতে। গত ৬ই মার্চ সকালে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অপমানিত হয়ে বাড়ি ফিরে এসে বিষ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর অবশেষে সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এই ঘটনায় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের নামে জীবনতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।
মাত্র ছ’মাস আগে ২৯শে অক্টোবর কার্যত জোর করে বিশ্বজিৎ দাস কে ধরে এনে নিজের মেয়ে ববিতা ঘোড়ই এর সাথে বিয়ে দেন ভুলো সরদার। বাপ মা মরা বিশ্বজিৎ এর সাথে ববিতার প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক থাকায়, তারা নাবালক হলেও প্রাথমিক ভাবে কেউ বাধা দেয়নি। বিয়ের পর ববিতাকে নিয়ে মঠেরদীঘিতে নিজের বাড়িতে মাস দুয়েক থাকার পর ববিতা ক্যানিং থানার তালদিতে বাপের বাড়ি চলে আসে। সেখানে স্ত্রীকে আনতে গেলে বিশ্বজিৎকে বারে বারে অপমান করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিশ্বজিৎ এর পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা শ্বশুরবাড়ির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ও চাপ দিতে থাকে সকলে। কিন্তু বিশ্বজিৎ তা না করায় প্রতিদিন তার উপর মানসিক চাপ বাড়াতে থাকে ববিতা ও তার মা বিশা ঘোরুই। সবকিছুকে উপেক্ষা করে গত ৬ই মার্চ স্ত্রীকে নিয়ে আসতে তালদিতে শ্বশুরবাড়ি যায় বিশ্বজিৎ। অভিযোগ সেই সময় বিশ্বজিৎকে মারধোরের পাশাপাশি তাকে অত্যন্ত নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে অপমানিত করে ববিতা ও তার পরিবারের লোকেরা। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ফিরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে ওই যুবক। বিষ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন চিকিৎসার জন্য। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। যুবকের মৃত্যুর পর এ বিষয়ে জীবনতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে ক্যানিং থানার পুলিশ।