মুখমন্ত্রীর ষষ্ঠ মাটি উৎসব নয়া রেকর্ড গড়ল
রেকর্ড সৃষ্টি হল ষষ্ঠ মাটি উৎসবের কৃষি সম্পর্কিত কেনাকাটায়। শৈত্য প্রবাহকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই বর্ধমানের মাটি উৎসবে ভিড় উপচে পড়ল। একইসঙ্গে কৃষি সংক্রান্ত বিষয়েও অন্যান্য বারের তুলনায় এবছর বেশ কিছু ক্ষেত্রে চাষি ভাইদের আগ্রহ উদ্যোক্তাদের রীতিমত রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। একদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুক্তশ্রী’ ধান নিয়ে গোটা দক্ষিণবঙ্গের কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার অধিকর্তা সুধীব্রত মিত্র জানিয়েছেন, এবছর মাটি উৎসবের প্রথম দিন থেকেই কৃষি সংশ্লিষ্ট স্টলগুলিতে আগ্রহীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সেই সঙ্গে কৃষিজাত দ্রব্যের বিক্রিও এবছর রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কেবলমাত্র তাঁদের স্টল থেকেই এই কদিনে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার কৃষিজাত দ্রব্যের বিক্রি হয়েছে।
তুলাইপঞ্জী চাল, কালোচাল, রাধাতিলক এর চাহিদা সবচেয়ে বেশী। কোন স্টলে তুলাইপঞ্জি চাল না থাকায় ফের মোহনপুর কৃষি ফার্ম থেকে আরও চাল ও তেল নিয়ে আসা হচ্ছে। শুধু এটাই নয়, এবছর মাটি উৎসবে চিনি গুঁড়ো সহ মুগ, মুসুর, কলাইডাল, মধু, বেশন, হলুদ গুঁড়ো, রাধা তিল প্রভৃতির বিক্রিও রীতিমত আশা জাগিয়েছে। এর মধ্যে প্রায়ে ১৮ হাজার টাকার চিনি গুঁড়ো বিক্রি হয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার টাকার মুগ ডাল,২৭ হাজার টাকার মধু, ১৬ হাজার টাকার কলাইডাল, ২ হাজার টাকার হলুদ গুঁড়োও বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, শুধু যে কৃষি ও কৃষিজাত দ্রব্যের স্টলেই বিক্রির এই হার নয়, উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এবছর মাটি উৎসবের সময়ে তীব্র ঠাণ্ডার জেরে ভাল বিক্রি হয়েছে ঢেঁকি ছাঁটা চালের তৈরি বিভিন্ন ধরণের পিঠে, মৎস্য দপ্তরের স্টলে ভেটকি মাছের বিভিন্ন পদের আস্বাদ নিতে ভিড় উপচে পড়েছে। উদ্যোক্তারা আশা করছেন রবিবারও ভাল বিক্রির আশা করছেন। সোমবার মেলার শেষ দিন। এই দুদিনেও বিক্রির ভাল আশা দেখছেন উদ্যোক্তারা।