All posts by tapas

সারারাত্রি ধাপাস বল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো নামখানা ব্লকের গ্রামীন মেলা

ঝোটন রয়, নামখানা: ধাপাস বল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিনদিনের গ্রামীণ মেলা। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের দক্ষিণ চন্দনপিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হলো এই গ্রামীণ মেলা। এই মেলার পরিসমাপ্তি ঘটে ধাপাস বল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। নামখানা ব্লক, কাকদ্বীপ, সাগর ও পাথর প্রতিমার মোট ৩২টি টিম এই ধাপাস খেলায় অংশগ্রহণ করে। দুই রাত্রি ধরে অনুষ্ঠিত হল ধাবাস বল টুর্নামেন্ট। রাত্রিবেলা দর্শকের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এক সময় গ্রামবাংলায় ক্রিকেট খেলার প্রবনতা ছিল বেশ ভালো। কিন্তু আজ সেই ক্রিকেট খেলার টুর্নামেন্ট অনেকাংশ কমে গিয়েছে বললেই চলে। কিন্তু ধাপাশ বল খেলার যে আগ্রহ প্রবনতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গ্রামের ছোট ছোট ছেলে থেকে শুরু করে বড়রাও এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন।

দুই দিনের ধাপাস বল প্রতিযোগিতায় প্রাইজ বিতরণের দিনে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সম্পাদক ড. শান্তনু বেরা, উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ধীরেন কুমার দাস, উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী অখিলেশ বারুই, অতনু দাস, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিরুপমা সিট, শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বেরা সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রসঙ্গে সোসাইটির সম্পাদক ড. শান্তনু বেরা বলেন, গ্রাম বাংলায় এই খেলার প্রবণতা অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই ধাপাস খেলা গ্রামবাংলায় খুবই জনপ্রিয়। এবছর এই ধাপাশ টুর্নামেন্ট আমাদের চার বছরে পদার্পণ করলো। দিনের বেলায় প্রচন্ড রৌদ্রের জন্যে আমরা এই খেলাটিকে রাত্রিতে পরিচালনা করেছি।

ধাপাস খেলার প্রথম পুরস্কার পেয়েছে শুভম সংঘ, তাদের হাতে একটি সুদৃশ্য ট্রফি ও ৭ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে জে এস চন্দনপিড়ি, তাদের হাতে একটি সুদৃশ্য ট্রফি ও পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।

তিন দিন ধরে নামখানা ব্লকে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণ মেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, নামখানা: দক্ষিণ চন্দনপিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণ মেলা। তিন দিন ধরে এই গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলার শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ধীরেন কুমার দাস, উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনের সম্পাদক ড. শান্তনু বেরা, উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অতনু দাস, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিরুপমা সিট, শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বেরা সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এই গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠানে গ্রামীণ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, ছদ্মবেশ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগর ও পাথরপ্রতিমা এলাকার ৩২ টি টীম নিয়ে সারা রাত্রি ব্যাপি ধাপাস বল প্রতিযোগিতা হয়। যেটি বর্তমানে গ্রাম বাংলায় খুবই জনপ্রিয়। এদিন সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী দাদাগিরি খ্যাত ডঃ অনিমেষ সিকদার ও ওনার টিম “বাপি পিকলু” এবং নৃত্য পরিবেশন করেন “নটরাজ ডান্স একাডেমী”। উপস্থিত ছিলেন সিরিয়াল অভিনেত্রী রুকমা রায় ও অন্যান্য শিল্পী বৃন্দ।
এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে সমাজসেবী ধীরেন দাশ বলেন, এই সংগঠন সবসময় মানুষের পাশে থাকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনের মানুষ যখন ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করে। দুস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য সাহায্য এবং বিভিন্ন রকম জীবন জীবিকা মুখী প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত। প্রশাসনিকভাবে আমরা বিভিন্নভাবে সাহায্য করব এই সংগঠনকে।

অন্যদিকে সংগঠনের সম্পাদক অধ্যাপক ড. শান্তনু বেরা বলেন, আমাদের সংগঠন ক্ষুদ্র কিন্তু সীমিত সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার। মানুষের শিক্ষা দীক্ষা, জীবন জীবিকা ও বিভিন্ন জনমুখী কাজের চেষ্টা সারা বছর ধরে সংগঠনের মাধ্যমে করা হয়। গ্রামীণ মেলা উদযাপন ছাড়াও বর্তমানে ৬ জন দুস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনার খরচ, সরকারি কিছু ট্রেনিং প্রোগ্রাম করানো হয়।

মাধ্যমিকে ইতিহাস প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক, অংকের পরীক্ষায় দেওয়া হয়নি গ্রাফ পেপার 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নামখানা: গত বছরের ন্যায় এই বছরেও মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেল। অংক কিংবা ইংরেজি থেকে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের কাছে ইতিহাস পরীক্ষা কিন্তু সহজ হয়ে থাকে।

ইতিহাস যারা পড়াশোনা করেন তাদের জানা থাকলে ‘কমন’ আর জানা না থাকলে ‘ আনকমন’ এই ধারণায় বিশ্বাসী পরীক্ষার্থীরা। বুধবার দিন ছিল পরীক্ষার্থীদের ইতিহাস পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাতে ছাত্রছাত্রীরা শর্ট কোশ্চেন টাচ করতে পারে নি। যেসব ছাত্রছাত্রীরা একটু মেধাবী তাদের ক্ষেত্রেও শর্ট কোশ্চেনের উত্তর তেমন ভাবে আশানুরূপ করতেই পারেনি বলে ছাত্রছাত্রীরা মত প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নামখানা ব্লকের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘ইতিহাসের শর্ট কোশ্চেন বইয়ের বাইরে থেকেও এসেছে। আমাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় ইতিহাস বিষয়ে এত কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হব আমরা ভাবতে পারিনি।’

যেমন ,১. প্রশ্নপত্রে ১.১ দাগে রাচেল কারসন নামক এক ব্যক্তির উল্লেখ আছে। উত্তর হবে- (গ) পরিবেশের ইতিহাসে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যক্রম বলছে- আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র‍্য। এখানে প্রায় লক্ষাধিক ব্যক্তির নাম আসবে যারা আধুনিক ইতিহাস চর্চার সাথে যুক্ত। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের কিভাবে ব্যক্তি নাম অনুযায়ী ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র‍্য মনে রেখে উত্তর লেখা সম্ভব। ২. প্রশ্ন ১.২ বঙ্কিমচন্দ্র ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদনা কত বছর করেছিলেন।

এক্ষেত্রে পর্ষদ পাঠ্যক্রমে বলছেন- আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি (ঘ. সাময়িক পত্র ও সংবাদ পত্র- সোমপ্রকাশ ও বঙ্গদর্শন) উপদান ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এখানে ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে বুঝতে পারবে এই দুটি বা পাঠ্যক্রমে অন্যান্য যে সকল পত্রিকা রয়েছে তার সকল সম্পাদকের কার্যকালের মেয়াদ কত।

এক্ষেত্রে সংবিধানের ধারার মতো সম্পাদকের কার্যকালের তো সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তাহলে এত জন সম্পাদকের কার্যকালের মেয়াদ ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে মনে রেখে পরীক্ষায় উত্তর দেবে।

৩. গত বছরের ন্যায় প্রশ্নকর্তা এবছরেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যক্রম কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রশ্নপত্রে (১.৮) ‘মহাবিদ্রোহ’ তকমা ১৮৫৭ খ্রিঃ বিদ্রোহকে ( যা পর্ষদ পাঠ্যক্রমে উল্লেখিত) দিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রশ্নে ভাষাগত বিভ্রান্তি রয়েছে। ঠিক একই যুক্তি ২.৪.১ মানচিত্রে স্থান চিহ্নিত কারণ এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

৪. পশ্চিমবঙ্গে যোগদানের পূর্বে পুরুলিয়া কিভাবে পুরুলিয়া জেলা ছিলো?  মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যক্রম বলছে- ৮.১ দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক।

৮.৩ ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনঃগঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক। সেক্ষেত্রে ‘পুরুলিয়া জেলা’ শব্দবন্ধ ব্যবহার কতটা যুক্তিপূর্ণ। ৫. পর্ষদের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রতিটি অধ্যায় থেকে মান ২ এর দুটো করে প্রশ্ন থাকবে। ৩.১ দাগের প্রশ্নটি সেক্ষেত্রে ষষ্ঠ ও সপ্তম অধ্যায়কে কেন্দ্র করে করা হয়েছে।

তাহলে প্রথম অধ্যায় থেকে মান ২ এর দুটি প্রশ্ন কোথায়? ৬. একই প্রশ্ন বারংবার – ছাপাখানা থেকে ৩.১০ দাগে মান ২, ৪.৫ দাগে মান ৪, ৫.২ দাগে মান ৮ এ পড়েছে। একই ভাবে ৩.১৬, ৪.৭ একই প্রশ্ন রাজ্য পুনঃগঠন কমিশন ও ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনঃগঠনের প্রচেষ্টা। একই জায়গা থেকে বারবার প্রশ্ন আশায় ইতিহাস বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফেরত সমীক্ষা বলছে।

মজার বিষয় হলো, ভারতের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস যা পাঠ্যক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম অধ্যায় জুড়ে চারটি আন্দোলনের গতিপ্রকৃতির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেখান থেকে তথাকথিত অর্থে ‘কমন’ প্রশ্নের দেখা পাচ্ছি না। এটা ভারতবর্ষের সুমহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে কি ভুলিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ৭. বিভাগ ঙ – ৫.১, ৫.৩ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রশ্ন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সমালোচনামূলক মানসিকতা থেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে কি সত্যি সক্ষম হবে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অংকের পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, অংকের পরীক্ষায় তাদের গ্রাফ পেপার দেওয়া হয়নি। জানা গ্রাফ কিভাবে হবে? কিভাবে অংক পরীক্ষায় নাম্বার তোলা যাবে। পরীক্ষার শেষে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের স্কুলের শিক্ষকদের পেয়ে তাদের একরাশ ক্ষোভ উগরে দেয়।

যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পরীক্ষার্থীরা যদি খাতায় সঠিক উত্তর লেখে তাহলে সে গ্রাফ আঁকলেও নম্বর পাবে না আঁকলেও নম্বর পাবে।

সূত্রে খবর পেয়ে অস্ত্রসহ গ্রেফতার 2 কুখ্যাত দুষ্কৃতী

বিশ্লেষণ মজুমদার, বারুইপুর:  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ঘটনা। রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ চাম্পাহাটি এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর লস্কর ও শহিদুল মন্ডল নামে দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে।

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ৭ এম পিস্তল, ছয় রাউন্ড তাজা কার্তুজ, দুটি ম্যাগাজিন, দুটি ন্যাপলা সহ অন্যান্য ডাকাতির সরঞ্জাম। এছাড়াও ধৃতদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু প্রসাধনী সামগ্রী।

ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।

কারা নিল অমিত মন্ডলের বাবা-মায়ের দায়িত্ব ! জানতে হলে পড়তেই হবে

ঝোটন রয়
….……………………

(পর্ব ২)

এই পৃথিবীতেই নেই তার আর স্বপ্নের  iphone থেকেই বা কি হবে।  এই অসহায় দিনে এত দামি ফোন রাখা ঠিক নয়।  তাই ঠিক করলেন এটাকে বিক্রি করে দেওয়ার।

দিন আসে দিন চলে যায়। প্রতিনিয়ত নতুন ভিডিও অমিতের ইউটিউবে স্থান পায়। তার দৈনন্দিন জীবনের করণীয় যে কাজ সেটিই ছিল কিন্তু ভিডিওর মূল বিষয়বস্তু এবং সেই ভিডিও স্থান পেতো তার ইউটিউবে। আজ সে এই দুনিয়ার বাঁধন ছেড়ে অজানা দেশে পাড়ি দিয়েছে। রেখে গেছে তার স্মৃতিটুকু। রয়েছে তার বাবা-মা রয়েছে তার বন্ধুবান্ধব। রয়েছে তার লাখ লাখ ভক্ত। যেসব ভক্তদের দিনের প্রথম শুরুটা হয় জনপ্রিয় ইউটিউবার অমিত মন্ডলের ভিডিও দেখে। শুরুতেই তার যে বাচনভঙ্গি ‘হ্যালো আমার প্রিয় পরিবার’ সত্যিই চমকপ্রদ। শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ সবল না হয়েও প্রতিনিয়ত তার দর্শকদের সুন্দর সুন্দর ভিডিও উপহার দিয়েছেন। তার বাবা এবং মা এর সারাদিন কেমন ভাবে কাটে। এইসবই নিয়েই ভিডিওতে চলত তার কাটা ছেঁড়া ।

সেই জনপ্রিয় ইউটিউবার অমিত মন্ডল আমাদের মধ্যেই রয়েছেন তার তৈরি শত শত ভিডিও লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখছেন। ছেলের স্বপ্ন বাস্তবিক রূপে ফুটে উঠুক কোন বাবা-মা না চায়। তাই ছেলের এমনই কঠোর পরিশ্রমের ফসল টিকিয়ে রাখতে চাইছেন তার মা সন্ধ্যা মন্ডল। আস্তে আস্তে করে জীবন গড়ার যে ভাবটা শুরু করেছিল হঠাৎ কোনো এক ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে যায় তার জীবনের রেখা। তাই ছেলে চিরনিদ্রায় যাওয়ার পর অমিতের মা এবং বাবার দৈনন্দিন জীবনের যে ভিডিও তা নতুন ভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করছেন স্বয়ং তার মা-ই।

ছেলেহারা দুঃখী মা-বাবার যে কি যন্ত্রনা কেবলমাত্র ভগবানই জানেন। আমরা উপলব্ধি মাত্র। বাড়িতে কেউ গেলে প্রতিনিয়ত হাউ হাউ করে কাঁদছেন মা। বাবার একটাই কথা আমাদেরকে নিয়ে ছেলের আর ভিডিও করা হলো না। অমিতের বাড়িতে এসেছেন তাবড় তাবড় ইউটিউবার দীপঙ্কর বাবু থেকে শুরু করে শংকর বাবুরা। বাবা মাকে দিয়ে গেছেন শান্তনা এবং কিভাবে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে রুজি রোজগার চলবে তার একটা বিহিত ব্যবস্থাও করে গেছেন। অমিতের বাবা-মা ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ব্যাপারে ততটা পারদর্শী নয়। এমনিতে এখনকার সময়ের টাকা-পয়সা চিনতেও তাদের একটু অসুবিধা হয়। দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে যাতে করে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্যই এক ঝাঁক ইউটিউবারের দল অর্থাৎ শংকর বাবুরা থেকে আমাদের স্থানীয় ইউটিউবার পেশায় শিক্ষক মহাশয় দীপঙ্কর বাবুর হাতেই সব দায়িত্ব দিয়েছেন।

দীপঙ্কর বাবু উনি ১২৬ খানা অসহায় দুস্থ পরিবারকে দেখছেন। তাদের পোশাক আশাক থেকে শুরু করে খাওয়া দেওয়ার এমন কি দায় দায়িত্ব নিজের কাঁধে  নিয়েছেন। আর তার সঙ্গে নিয়েছেন অমিতের বাবা-মায়ের দায়িত্ব। এবং অমিতের বাবা-মা  কিভাবে কঠোর পরিশ্রম না করেও বাকি জীবনটা কাটাতে পারেন তার ও একটা দিশা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।

অমিত সবে মাত্র কিনেছিলেন একটি iphone। যেদিন দোকানে কিনেছিল সেদিন আমরা ভিডিওতে দেখেছি, কত আনন্দের ছাপ ছিল যে তার চোখে মুখে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। শুধু একটা বিষয় বলেছিল, যে এই ফোনটা ছিল তার স্বপ্ন। এই ফোন কেনার আমার একটাই উদ্দেশ্য হলো যে আমার দর্শকদের আরো ঝা চকচকে সুন্দর ভিডিও আমি প্রেজেন্টেশন দিতে পারব। দুঃখের বিষয় হল যে মানুষটি এই ফোনটিকে ব্যবহার করবে সেই জনপ্রিয় ইউটিউবার অমিত মন্ডল আজ আর এই দুনিয়ায় নেই। কি হবে সেই এত দামের ফোন। কিভাবেই বা চালাবে সেই ফোনটি। ছেলের মৃত্যুর পর মা-বাবার এমনিতেই শারীরিক এবং মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়েছেন। প্রায় সই ডাক্তারবাবু আসছেন চেকআপ করতে। এমতো অবস্থায় অমিত মন্ডলের অসহায় বন্ধু বরুন বাবু ঠিকই করলেন যে এই পৃথিবীতেই নেই তার আর স্বপ্নের iphone থেকেই বা কি হবে। এই অসহায় দিনে এত দামি ফোন রাখা ঠিক নয়। তাই ঠিক করলেন এটাকে বিক্রি করে দেওয়ার। এটা বিক্রি করে যে কটা টাকা আসবে সেটাই দিয়ে তার বাবা-মায়ের আর কয়টা দিন ভালো ভাবে চলবে। এইরকম পরিকল্পনাতে নেট দুনিয়া থেকে শুরু করে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন থেকে সাধুবাদ পেয়েছেন বরুণ বাবু।

অমিতের বন্ধু মহলের কোন তুলনা হয় না। বরুন, সায়ন, সুদীপ্তদের মতো নিরলস সাহায্য বন্ধু পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। স্কুল কিংবা টিউশন থেকে কেনাকাটা এমনকি কোথাও বেড়াতে গেলেও বন্ধুরাই যে  ছিল তার নিত্য সঙ্গী।                                                                                                                                                                                                                                     -পরবর্তী অংশ আগামী সোমবার

দাম্পত্য জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী

আশি-নব্বইয়ের দশকে তিনি পর্দায় এলেই ঝড় উঠত সকলের হৃদয়ে। অনেক অভিনেতার সঙ্গেও জড়িয়েছিল তার নাম। কিন্তু চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে অভিনয় জগৎ ছেড়ে মাধুরী দীক্ষিত চলে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। দীর্ঘ তেইশ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। তবে সহজ ছিল না তার দাম্পত্য জীবনের শুরুর দিনগুলো। সম্প্রতি স্বামীর ইউটিউব চ্যানেলে সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘ধক ধক গার্ল’।

মাধুরী জানান, একজন চিকিৎসকের স্ত্রী হওয়া কতটা কঠিন। সন্তানদের খেয়াল রাখতে হয়, স্কুলে নিয়ে যেতে হয়, সময়ও একটা বড় ব্যাপার। হয়তো একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটছে, শ্রীরামকে দরকার, কিন্তু সে তখন ব্যস্ত হাসপাতালে, রোগীর দেখাশোনা করছে। কখনও হয়তো আমি অসুস্থ, কিন্তু সে হাসপাতালে রোগীর পরিচর্যায় ব্যস্ত।

এমনও হয় যে, চার-পাঁচ দিন টানা হাসপাতালে কাটানোর পর তার স্বামী বাড়ি ফেরেন।মাধুরী ও শ্রীরাম নেনের বড় ছেলে অরিনের জন্ম হয় ২০০৩ সালে। দু-বছর পর রায়ানের জন্ম দেন মাধুরী। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর, আপতত মুম্বাইয়ে নিজেদের ভালোবাসার ঠিকানা গড়েছেন মাধুরী ও নেনে।

চীনকে ফের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে চীনকে ফের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালেভান বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে চীনকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।

তারা সহায়তা করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত তাদের। কিন্তু তারা সে পথে হাঁটলে তাদেরকে বাস্তবিক মূল্য দিতে হবে।  এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত ১৯ ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, চীনা কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে রাশিয়াকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র সরবরাহ করছে। এমনকি তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র মস্কোকে সরবরাহ করতে পারে।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে চীনকে ফের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালেভান বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে চীনকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। তারা সহায়তা করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত তাদের। কিন্তু তারা সে পথে হাঁটলে তাদেরকে বাস্তবিক মূল্য দিতে হবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত ১৯ ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, চীনা কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে রাশিয়াকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র সরবরাহ করছে। এমনকি তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র মস্কোকে সরবরাহ করতে পারে।

১৭৮যাত্রী ও ৬ জন ক্রু, বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল কলকাতার বিমান

বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল কলকাতা থেকে ব্যাংককগামী স্পাইসজেটের একটি বিমান। ব্যাংককের উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে ওড়ার ১৭ মিনিটের মাথায় তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় বিমানটির।

এরপরেই বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমানটি জরুরি অবতরণ করেন পাইলট। জানা যায়, বিমানটিতে ১৭৮যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। কলকাতা বিমানবন্দরের সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১টা ৯ মিনিটে কলকাতা থেকে টেক অফ করে বিমানটি।

স্পাইস জেটের বিমানটি ওড়ার ১৭ মিনিটের মধ্যেই পাইলট ডানদিকের ইঞ্জিনে ব্যাপক ঝাঁকুনি অনুভব করেন। মাঝআকাশে ওই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরাও। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলট। তারপরেই ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং অর্থাৎ জরুরি অবতরণের কথা ঘোষণা করা হয়।

মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতির

ইডি-র হেফাজতে এখন মানিক ভট্টাচার্য । চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিকেরও। কেন? আদালতে ইডি জানিয়েছে, মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন, সেই টাকা নাকি স্ত্রীর অ্য়াকাউন্টেই সরিয়ে ফেলেছিলেন মানিক! আর ছেলে? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি, একাধিকবার ইংল্যান্ডে গিয়েছেন তিনি। সেই সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

শুধু তাই নয়,  আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকেই। ধৃতদের  ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল  হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে,  ২৫ জানুয়ারি একটি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কিন্তু সেই জরিমানা টাকা এখনও জমা দেননি তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশ, যতদিন না জরিমানা দিচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা রাখা হবে।-zee24

হ্যালো আমার প্রিয় পরিবারের ইউটিউবার অমিত মন্ডল আজ অনেক দূরে

ঝোটন রয়
….……………………

“তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম”

তুমি চলে গেছো তারাদের দেশে। কিন্তু রেখে গেছো তোমার অনেক স্মৃতি। যে স্মৃতিগুলো লাখ লাখো মানুষ আঁকড়ে ধরে থাকবে। তোমার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলই। তোমার সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতেও গিয়েছি। একসাথে বসে হয়েছে অনেক কথা, অনেক পরামর্শ, অনেক আলোচনা। তুমি চলে গেছো। তবুও সেই আলোচনাগুলো আমার বারবার মনে পড়ে।

২২ বছরের তরতাজা যুবক অমিত মন্ডল। নামখানা ব্লকের পরমেশ্বর মহাবিদ্যালয় এর প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছোটবেলা থেকে অঙ্গ পতঙ্গের অসুবিধার কারণে হাঁটতে পারতেন না। ভালো লাগা ছিল অনেক কিছু। পড়াশোনার বই ছাড়াও ভালো ভালো লেখক এর বই পড়ার নেশা ছিল বেশ। সবার সাথে হেসে কথা বলতেন। সৎ ভাব বজায় রেখে জীবন চালিয়েছেন বাইশটা বছর। বাবাও ছিলেন পঙ্গু। তিন জনের পরিবারের মা কেবলই চলাফেরা করতে পারতেন। গ্রামে বাস করেও সবকিছু কাজেই পারদর্শী ছিলেন মা। সংসার সামলানো থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে নামখানা ব্লকের জেটিঘাট বাজার ও দশ মাইল বাজার ঝাঁট দেওয়া মা সবই করতেন নিজের হাতে। প্রতিবন্ধী ট্রাই সাইকেলে করে স্বামীকে নিয়ে আসতেন দুটি বাজারে।

প্রতিবন্ধী ট্রাই সাইকেলের  উপরে বসিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ হাঁটতে হাঁটতে বাজারে আসতেন। হাঁটাই ছিল অমিতের মায়ের নিত্যদিনের একটা কর্ম। যতই কষ্ট হোক না কেন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে কাঠফাটা রোদ কিংবা বর্ষায় হাজির হতেন বাজারে। বাজার হয়ে যাওয়ার পর যত জঞ্জাল সব নিজের হাতে সাফ  করতেন অমিতের মা। বাবা যে সাহায্য করতেন না সেটা নয় বাবা যেটুকু পারতেন সেটাই করতেন।  “এই জায়গাটা একটু ভালো করে পরিষ্কার করে দে।” অমিতের বাবা চোখে তেমন একটা ভালো দেখতে পায় না। যতদূর চোখ যায় ততটুকুই যেন কোনো নোংরা না পড়ে থাকে।

বেলা বয়ে যায় বাজার পরিষ্কার করে দুজনেই আবার সেই পায়ে হেঁটে বাড়িতে আসতেন। কত কষ্টের জীবন ছিল তিন জনের। তবুও বাড়িতে এলে ছেলেই ছিল সব কষ্টের সান্তনা। কিন্তু সেই ছেলে আজ তাদের মধ্যে নেই। দুটি বাজারে সপ্তাহে দুদিন বাজার বসে। যে বাজারে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। কয়েকটা ঘন্টার মধ্যে শাকসবজি থেকে শুরু করে সাংসারিক জিনিসপত্র সবই কেনাবেচা হত বাজারে। শহরের মতো প্রত্যেকদিন বাজার না বসলেও সপ্তাহে দুদিন করে বাজার বসে। বাজার শেষ হওয়ার পর তার পরের দিন সেই একই কাজ বাজার পরিষ্কার করা। দিনের শেষে বাজারে প্রতি দোকান থেকে আসে মাত্র দু টাকা।

এইভাবে কোনরকম দিন চলছিল। এই টাকার উপরে নির্ভর করত সংসার থেকে শুরু করে নিজেদের অসুখ বেসুখ, ছেলের পড়াশোনা। অমিতের একটুও বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে বাবা মায়ের এই জীবন যন্ত্রণা কতটা কষ্টের। তাই কোনো রকমের একটা এন্ড্রয়েড ফোন কিনে দিয়েছিল তার বাবা-মা। আর সেই ফোন দিয়ে ভালো লাগার মধ্যে ছোট ছোট ভিডিও বানাতে শুরু করলো। সারাদিনে সে কি করে। তার বাবা-মা কিভাবে জীবন যাপন করে। সবই উল্লেখ করতেন তার ভিডিওর মধ্যে। দিনের পর দিন ছোট ছোট করে ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষদেরকে আনন্দ দিত। বাড়তে থাকলো সাবস্ক্রাইবের সংখ্যা।  আস্তে আস্তে করে মানুষের ভালোবাসা পেতে থাকল। কলিকাতার তাবড় তাবড় ইউটিউবার দের সঙ্গে যোগাযোগ হতে থাকলো। তাদের কাছেও ভালো লাগার পাত্র হয়ে উঠলো অমিত মন্ডল। আস্তে আস্তে করে তার ভিডিওর জনপ্রিয়তা পেতে লাগলো। হয়ে উঠল একজন ইউটিউবার।

যেখানে তার সাবস্ক্রাইব ছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের বেশি। একটা ভিডিও পোস্ট করা মানে নিমেষের মধ্যেই বেশ কয়েক লক্ষ ভিউ হয়ে যেত। দর্শক আনন্দ পেত। হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসায় ভরে যেত কমেন্টের বাক্স। একজন সম্পূর্ণ সুস্থ সবল মানুষ না হয়েও একজন পঙ্গু যুবক দিনের পর দিন ভিডিও বানিয়ে নেট দুনিয়ায় তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। এটাই তাঁর কাছে ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

-পরবর্তী অংশ আগামী সোমবার