মৌশুনীতে স্কুল ছুট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ফেরাতে উদ্যোগ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের

শিল্পা মাইতি, নামখানা: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এখনো সুন্দরবনের বহু জায়গায় দেখা যায় বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি, পাশাপাশি বেড়েছে স্কুল ছুট ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ও শিশুশ্রম। বিশেষ করে লকডাউনের পর থেকে বাল্যবিবাহ, স্কুল ছুট ও শিশুশ্রম যেন নৃত্যকর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ নামখানা সাগর ব্লকের বেশিরভাগ জায়গাতেই এই বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম যেন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। বাল্যবিবাহ রোধের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী প্রকল্প গ্রহন করেছে।বিশেষ করে বর্তমান সময়ে প্রেম গঠিত বিয়ে হওয়ার কারণে বাল্যবিবাহের আধিক্য বেড়েছে।
সুন্দরবন এলাকায় ইয়াস ঝড়ে বন্যা হওয়ার পরে বেশিরভাগ ঘরের ছেলেরা পড়াশোনার বয়সে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য পাড়ি দিচ্ছে। বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম রোধের জন্য সরকার আইন চালু করেছে।বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রামে গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীকে এই বিশেষ সচেতন করছেন। তারপরেও হুশ ফিরছেন সাধারণ মানুষের। দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের মৌসুনীর কুসুমতলাতে স্কুল ছুট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ফেরাতে উদ্যোগ নিল রূপান্তরণ ফাউন্ডেশন। রূপান্তরণ ফাউন্ডেশন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বেশ কয়েক বছর ধরে সুন্দরবন এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
পাশাপাশি বাল্যবিবাহ শিশুশ্রম ও স্কুল ছুট ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। মৌসুনির কুসুম তলাতে স্কুল ছুট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ফেরানোর জন্য সামার ক্যাম্প নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সচেতনতার ওপরে নাচ গান আবৃত্তি নাটক করা হয়। পাশাপাশি মেয়েদের কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। কাবাডি খেলার প্রথম হয় কুসুমতলা।এ বিষয়ে রূপান্তরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্মিতা সেন বলেন আমরা স্কুল ছুট ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ফেরাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। শুধু আমরা এ বিষয়ে সচেতন করলে হবে না। অভিভাবকদের ও সচেতন হতে হবে। তবেই স্কুল ছুট ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে।