বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষনা হতেই দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত বিজেপি, আইএসএফ, সিপিএম

News Sundarban.com :
জুন ৯, ২০২৩
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং – ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষনা হতেই শাসক দলের দুষ্কৃতির হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপি,আইএসএফ,সিপিএম এর একাধিক কর্মী সমর্থক।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে ক্যানিং ১ বিডিও অফিস চত্বরে।ঘটনার পর থেকেই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ইতিমধ্যে ঘটনার বিষয় জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি ও আইএসএফ এর তরফে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার ক্যানিং ১ নম্বর বিডিও অফিসে সর্বদলীয় বৈঠক ছিল।সেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্মীরা গিয়েছিলেন।অভিযোগ বিডিও অফিসের সামনে প্রায় তিন চারশো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি বিজেপি,সিপিএম আইএসএফ কর্মীদের ওপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।আক্রমণ করে তাদের কে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির ক্যানিং পশ্চিম ১ নম্বর মন্ডল সভাপতি মনোজ সরকার,জগদীশ মন্ডল,মানবেন্দ্র ঘোষ,আইএসএফ এর ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার পর্যবেক্ষক মেঘনাথ হালদার,নিজাম মিস্ত্রী,আবুল কালাম গায়েন,বাবলু সেখ,রসিদ জমাদার,মোর্তাজা খান এবং সিপিএমের সুবল দাস সহ অন্যান্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে দলের অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা আক্রান্তদের উদ্ধার করে।
ঘটনার বিষয়ে দলীয় তরফে বিজেপির মনোজ সরকার ও আইএসএফ এর মেঘনাথ হালদার ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার ক্যানিং ১ মন্ডল সমিতির সভাপতি মনোজ সরকার জানিয়েছেন , ‘নির্বাচন ঘোষণা হতেই শাসক দলের দুষ্কৃতিদের হাতে খোদ বিডিও অফিসের সামনেই আমরা আক্রান্ত।কোন রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে থানায় হাজীর হই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আবেদন করেছি পুলিশ প্রশাসন কে।পাশাপাশি আগামীতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা যাতে থাকে সেই অনুরোধ করেছি।’

ঘটনার নিন্দা করে বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তথা ক্যানিং ১ ব্লক বিজেপির পঞ্চায়েত পর্যবেক্ষক অসিত মন্ডল জানিয়েছেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের তরী যে ডুববে তা ইতি মধ্যে জেনে গিয়েছে তারা। যার ফলে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করছে।সাধারণ মানুষ এই অত্যাচারের জবাব ব্যালটেই দেবে। ’
আইএসএফ এর ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার পর্যবেক্ষক মেঘনাথ হালদার বলেন, ‘ক্যানিং ১ বিডিও অফিসে নির্বাচনী সংক্রান্ত সর্বদলীয় বৈঠক ছিল।সেখানে যেতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণ করে।বেধড়ক মারধর করে আমার ও আমাদের কর্মী সমর্থকদের কে।ইতিমধ্যে বিষয়টি আমরা পুলিশ প্রশাসন কে কে জানিয়েছি।’

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছে, ‘বিডিও অফিসে বৈঠক ছিল।বৈঠকের আগে সেখানে বিজেপি ও আইএসএফ এর প্রচুর কর্মী সমর্থ হাজীর হয়।তাদের মধ্যে গন্ডোগোল মারামারি হয়।এই ঘটনায় তূণমূলের কোন কর্মী সমর্থক জড়িত নেই।পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মন জয় করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করেছে।সাধারণ মানুষ এই চক্রান্তকারী সাম্প্রদায়িক দলকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করবে।’