বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফ্লেক্স থেকে তৃণমূল নেতার মুন্ডু কেটে নেওয়ার ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২৪, ২০২২
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং – ফ্লেক্স থেকে তৃণমূল নেতার মুন্ডু কেটে নেওয়ার ঘটনা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার সকালে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের নলিয়াখালি এলাকায়।এলাকায় রয়েছে ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

জানা গিয়েছে আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় গোলাবাড়ি প্রগতি সংঘের মাঠে বিশ্ববাংলা ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে ইটখোলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে। সেই খেলার প্রচারের জন্য এলাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার,ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। ব্যানার ও ফ্লেক্স এ স্থানীয় ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পরেশরাম দাস, ক্যানিং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অরিত্র বোস,ইটখোলা অঞ্চল সভাপতি খতিব সরদার এবং নলিয়াখালি যুব সভাপতি অঙ্কন সরদারদের নাম ও ছবি রয়েছে। বুধবার রাতের অন্ধকারে ফ্লেক্স এর ছবি থেকে অঙ্কন সরদার এর মুন্ডু কেটে ফেলা হয়েছে অভিযোগ। এমন ঘটনা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের নজরে পড়ে বৃহষ্পতিবার সকালে।ঘটনার পর চরম উত্তেজন ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। স্থানীয় ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি খতিব সরদার জানিয়েছেন ‘বিগত দিনে বিজেপি আশ্রিত বেশকিছু দুষ্কৃতি তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় আসার জন্য লাগাতর চেষ্টা চাল্লাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে দুষ্কৃতি কিংবা সমাজবিরোধীদের কোন স্থান নেই। যার ফলে বারে বারে এমন ঘটনা ঘটিয়ে আগামী দিনে আমাদের খুন করার চক্রান্ত করছে। আমরা প্রশাসন ও দলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি জানিয়েছি।’

অন্যদিকে ফ্লেক্স থেকে মুন্ডু কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে অঙ্কন সরদার জানিয়েছেন ‘বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে ফায়দা তুলতে মরিয়া। যার ফলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।আমরা প্রাণহানি আশাঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছি।যারা এসমস্ত কাজ করেছে তাদের কে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার আমরা পুলিশ প্রশাসন ও দলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি। ’

অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরদার জানিয়েছেন ‘তৃণমূলের গোষ্ঠিদ্বন্দ প্রকাশ্যে এসেছে। কে ক্ষমতার অধিকার ভোগ করবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই চলছে। নিজেদের দোষ ঢাকতে জনসমকক্ষে বিজেপির বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। বিজেপি হিংসার রাজনীতি করে না। ’