শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাসপাতালে জমে থাকা নোংরা আবর্জনা ঝাড়ু হাতে পরিষ্কার করলেন বিধায়ক 

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং – বিরল দৃষ্টান্তের সাক্ষী থাকলো ক্যানিং বাসী।খোদ এলাকার বিধায়ক নিজেই ঝাড়ু দিয়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছেন।যা দেখে ইতিমধ্যে এলাকার মানুষজন বিধায়ক কে প্রশংসা করেছেন।সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিনিয়ত নিন্মচাপের জেরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।বৃষ্টিপাতের জেরে বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যাচ্ছে।মূলত প্লাস্টিক আর যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং জল নিকাশি ব্যবস্থা সচল না থাকার কারণে এমনটাই হচ্ছে বলে দাবী এলাকার মানুষের। সেই সাথে সাথে জমে পাহাড় তৈরী হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। সেখান থেকে উৎপন্ন হচ্ছে মশা,মাছি,কীটপতঙ্গ ও রোগ জীবাণু।আবার ময়লা আবর্জনা থেকে ডেঙ্গির প্রকোপ সহ বিভিন্ন জীবাণু বাহিত রোগ বেড়ে চলেছে।

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ও একই দুর্দশা। ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। দুর্গন্ধে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ ,রোগী,চিকিৎসক সকলেই। আবার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ অপূর্ব লাল সরকারের কথায় ডেঙ্গি থাবা বসাতে পারে। ইতিমধ্যে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে।

এছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা সমধানের জন্য ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস কয়েকদিন আগে একটি হেল্প লাইন চালু করেছিলেন।ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনেরা হাসপাতালের নোংরা আবর্জনার বিষয়টি বিধায়কের হেল্প লাইনে একাধিকবার ফোন করে জানায়।একই সমস্যা নিয়ে একাধিক ফোন পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিধায়ক। তিনি আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেইমতো শনিবার সকালে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভিজিট করেন।সেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেন।এরপর বিধায়ক পরেশরাম দাস নিজেই ঝাড়ু হাতে তুলে নেন। হাসপাতাল চত্বরে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেন।

বিধায়কের এমন মানবিক প্রচেষ্টা কে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছেন ‘সাধারণ মানুষকেই প্রথমে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তারা যাতে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা,প্লাস্টিক না ফেলেন। পাশাপাশি কেউ ফেললে তা আমাদের পরিবেশের সুরক্ষার স্বার্থে নিষেধ করে সচেতন করা প্রয়োজন।এছাড়াও হাসপাতাল কে আমাদের নিজেদের বাসস্থান মনে করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।হাসপাতাল সম্পর্কে সুপার কে জানিয়েছি যারা হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্বে রয়েছেন তারা যেন প্রতি দিনই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ অব্যাহত রাখেন।তবেই তো জীবানুমুক্ত সুস্থ পরিবেশ গড়ে উঠবে।’