শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রত্যন্ত সুন্দরবনের কুলতলির ইসকন মন্দিরে দেবী দুর্গার আবির্ভাব

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১১, ২০২১
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার,ক্যানিং – প্রত্যন্ত সুন্দরবনের মাতলা ও পিয়ালি নদীর তীরবর্তী সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে কুলতলি।এলাকার অধিকাংশ মানুষজন কৃষিজীবির উপর নির্ভরশীল।বিগতদিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষজন।এছাড়াও লকডাউন আর করোনার জোড়া ফলায় বিধ্বস্থ এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা।

ইতিমধ্যে শরতের আকাশে দোদুল্যমান কাশ ফুল আভাস বহন করে এনেছে শারদীয়ার আগমনীর বার্তা।যে এলাকার মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায়!তাদের কাছে এমন মহামারী কালে শারোদ উৎসব যেন মলিন।এমন পরিস্থিতি তে দুর্গোৎসব প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল।

এলাকার মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে এগিয়ে এলেন স্থানীয় বিধায়ক ও গণেশ চন্দ্র মন্ডল ফ্যান ক্লাব ও কুলতলি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এলাকায় শুরু হয় বাঙালীর বৃহত্তম দুর্গোৎসব।এবছর ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করলো সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার এই দুর্গাপুজো।এবছর পুজোর প্রধান আকর্ষণ দেশের ঐতিহ্যবাহী ইসকন মন্দিরের আদলে তৈরী মন্ডপ।সেই মন্ডপে অধিষ্ঠিত হয়েছেন স্বপরিবার সহ স্বয়ং দেবী দুর্গা।

শিল্পীর হাতের যাদুতে মন্ডপের প্রতিটি কোনায় কোনায় ইসকন মন্দিরের রুপ ফুটে উঠেছে। ইতিমধ্যে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের কুলতলি থানার অন্তর্গত জামতলার কুন্দখালি গণেশ চন্দ্র মন্ডল ফ্যান ক্লাব ময়দানে ভীড় জমিয়ে প্রত্যন্ত সুন্দরবন সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের উৎসব মূখর মানুষজন।

পুজো উদ্যোক্তা কমিটির অন্যতম সদস্য তথা কুলতলির বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন ‘দেশ তথা বিদেশে ছড়িয়ে ছিটেয়ে থাকা বাঙালী শরতের শারোৎসবে মেতে ওঠেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারী বিধিনিষেধ মেনেই কুলতলি সহ অন্যান্য সাধারণ মানুষজন যাতে শারোৎসবের আনন্দে সামিল হতে পারে সেই জন্যই এমন ইসকন মন্দিরের আদলে মন্ডপে দুর্গা পুজোর আয়োজন।’